
ছবি: নিহত চাচা বাদশা আলী
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার হরিপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটে যায় হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা। এসবের পেছনে রয়েছে মাদক-ব্যবসা। আধিপত্য বিস্তারসহ গোষ্ঠিগত দ্বন্দ্ব। গেলো কয়েক বছরে হত্যা ভাঙচুরসহ ঘটেছে বেশকিছু ঘটনা। আইনের যথাযথ প্রয়োগে বাঁধা, প্রভাব বিস্তার। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-ঝুঁকিতে এই ইউনিয়নের জনসাধরণ।
গত ১৬ জুন রোববার ঈদ উল আযহার আগের দিন বিকেলে ভাতিজার ফ্রিজ থেকে সেমাই আনতে গিয়ে আপন ভাতিজার বটির আঘাতে খুন হন চাচা বাদশা আলী।
জানা গেছে, ভাতিজা মাসুদের ফ্রিজে রাখা সেমাই আনতে গিয়েছিলেন চাচা বাদশা। তখন ভাতিজা মাসুদ বলেন, বিদ্যুৎ না থাকলে ফ্রিজ খোলা যাবে না। এই কথার সূত্র ধরে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মাসুদ তার চাচা বাদশাকে ধারালো বটি দিয়ে কোমরে কোপ দেয়। এরপর স্থানীয়রা তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত বাদশা আলীর ছেলে রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, আমার বাবা একজন নিরপরাধ মানুষ। তুচ্ছ ঘটনায় আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে ঘটনার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও ঘাতক ভাতিজা ও তার স্ত্রীকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, হরিপুর অঞ্চলে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। সিভিল এবং পুলিশি পোশাকে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে।
/এটিএম
 
 
				
				
				 
 
				
				
			


Leave a reply