Site icon Jamuna Television

‘লজ্জার রেকর্ডে’ নাম লেখালেন রিয়াদ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। খাদের কিনারা থেকে তুলে নিয়ে বহু ম্যাচ জেতানোর নায়ক তিনি। কিন্তু ইতিহাস কখনও কখনও নির্মম হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন অজি পেসার প্যাট কামিন্স  আর তাতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ষষ্ঠবারের মতো হ্যাটট্রিকের অংশ হলেন মাহমুদউল্লাহ।

অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডিএলএস ম্যাথডে ২৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহকে আউট করেন প্যাট কামিন্স। তার খাটো লেংথের ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ইন সাইড এজ হয়ে বোল্ড হন বাংলাদেশের এই ব্যাটার।

পরের বলেই তিনি আউট করেন শেখ মেহেদীকে। ২০তম ওভারে এসে নিজের প্রথম বলেই তাওহীদ হৃদয়কে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান কামিন্স। আর তাতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ষষ্ঠবারের মতো হ্যাটট্রিকের অংশ হলেন মাহমুদউল্লাহ।

এরমধ্যে টি-টোয়েন্টিতে তিনবার, ওয়ানডেতে দুইবার ও টেস্টে একবার হ্যাটট্রিকের অংশ হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তার এই দুর্ভাগ্যের শুরুটা ছিল ২০১৫ সালে। সেবার সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে নেমে কাগিসো রাবাদার তোপের মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেই ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন রাবাদা। শেষ বলে মাহমুদউল্লাহকে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান এই প্রোটিয়া পেসার।

এরপর ২০১৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দিলশান মাদুশঙ্কার হ্যাটট্রিকের অংশ হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ৪০তম ওভারের শেষ দুই বলে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রুবেল হোসেনকে আউট করার পর ৪২তম ওভারে এসে মাহমুদউল্লাহকে আউট করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেছিলেন এই লঙ্কান বাঁহাতি পেসার।

২ বছর বাদে ২০২০ সালে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে নাসিম শাহর হ্যাটট্রিকেও ছিল মাহমুদউল্লাহর নাম। নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাইজুল ইসলামকে এলবিডব্লিউ করে ফেরানোর পর মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ বানিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেছিলেন পাকিস্তানের এই পেসার। সেই সময় সর্বকনিষ্ট বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাটট্রিকের নজির গড়েছিলেন নাসিম।

২০২১ সালে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন অজি পেসার ন্যাথান এলিস। সেবার প্রথম উইকেটটিই ছিল মাহমুদউল্লাহর। এরপর টানা দুই বলে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়কে আউট করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এলিস।

এরপর চলতি বছরই আরেকবার হ্যাটট্রিকের অংশ হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। গত মার্চে সিলেটে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন নুয়ান থুশারা। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলেই এই লঙ্কান পেসার আউট করেন শান্তকে। এরপর তৃতীয় বলে তার শিকার হন হৃদয়। আর চতুর্থ বলে মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক তুলে নেন তিনি।

অবশ্য কামিন্সের হ্যাটট্রিকের আগেই রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে আর কোনো ব্যাটারই তিনবারের বেশি হ্যাটট্রিকের অংশ হননি। এবার সেটা মাহমুদউল্লাহ নিয়ে গেলেন ৬ নম্বরে। আর কোনো ব্যাটারই হয়তো এই দুর্ভাগ্যের রেকর্ডে নাম লেখাতে চাবেন না।

/আরআইএম

Exit mobile version