Site icon Jamuna Television

আনার হত্যাকাণ্ড: গোয়েন্দা নজরদারিতে আরও অন্তত ৭ জন

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে আরও অন্তত সাতজন গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। তারা আনার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।

রাজধানীর গুলশানে আনারের ফ্ল্যাটে তাদের অবাধ যাতায়াতের ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। আনার হত্যার আগে পরে তারা ওই ফ্ল্যাটে একাধিকবার বৈঠক করেছে বলে ধারণা ডিবি পুলিশের। ওই ফ্ল্যাটের বাইরের ফুটেজে দেখা যায়, গত ২০ মে রাত ১টা ২৫ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের দিকে ফ্ল্যাটের ফটকের সামনে পায়চারি করছেন শাহীন।

প্রায় এক মিনিট পর ফ্ল্যাট থেকে বের হতে দেখা যায় শাহীনের বান্ধবী চেলসি চেরী ওরফে আরিয়াকে। তার সঙ্গে ছিল বাসার কাজের ছেলেও। এ সময় আরিয়ার হাতে ট্রলি ও ভ্যানেটি ব্যাগ দেখা গেছে। আরিয়াও আনার হত্যা মামলার আসামিদের একজন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। পরে তার খোঁজ পাওয়া না গেলে গত ১৮ মে ভারতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এমপি আনারের পরিচিত ও ভারতের বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। এরপর এমপি আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে বলে গত ২২ মে জানায় ভারতীয় পুলিশ। তারপর থেকে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ওইদিন রাতেই ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এই মামলার আসামিরা হলেন শিমুল ভূইয়া, সিলিস্তি রহমান, তানভীর ভূইয়া, আক্তারুজ্জামান শাহীন, মো. সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজী, চেলসি চেরী, তাজ মোহাম্মদ খান ও মো. জামাল হোসেন।

এরপর, গত ২৮ মে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা আবাসনের বিইউ-৫৬ ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংস উদ্ধার করে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। ধারণা করা হচ্ছে, তা এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত দেহাংশের মাংস। পরে গত ৯ জুন কলকাতার বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার করা হয় কিছু হাড়ও।

/এএস

Exit mobile version