ঘুষ নেয়া ও দুর্নীতির অভিযোগে যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এবার মামলার অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। আর শিগগিরই মামলা দায়ের হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৩ সালের ১২ জুলাই তাকে নিজ কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছিল। পরে ২০ জুলাই মোস্তাফিজুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করে দুদক। সাময়িক বরখাস্তের আদেশে বলা হয়েছিল, পাবনায় উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অফিস কক্ষে মো. সামছুল হক নামে এক ব্যক্তির কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন মোস্তাফিজুর রহমান। পরে তিনি ৭৬ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
এ নিয়ে যমুনা নিউজকে সে সময় মোস্তাফিজুর রহমান বলেছিলেন, সম্ভবত ২-৪ হাজার হতে পারে, খাওয়ার (নাস্তা) টাকা। ৬-৭ জন মিলে খাইছিলাম। এটা ঘুষের টাকা নাকি। আমি দুই-তিন-চার হাজারের বাইরে… ঘুষ নিচ্ছি নাকি?
এদিকে, দুদকের অভিযোগে বলা হয়, মোস্তাফিজুর রহমান ঘুষ গ্রহণ করে চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করেছেন। এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এছাড়া তিনি দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮ এর ৩৯ (খ) ও ৩৯ (ঙ) বিধি মোতাবেক যথাক্রমে অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।
/এমএন

