Site icon Jamuna Television

লোকসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন রাহুল গান্ধি, মাইক বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ স্পিকারের বিরুদ্ধে

ভারতের লোকসভায় নিটের প্রশ্ন ফাঁস ইস্যুতে সরব বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধির মাইক বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্পিকার ওম বিড়লার বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৮ জুন) নিট ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) কংগ্রেসের তরফে এ বিষয়ে লোকসভা অধিবেশনের একটি ভিডিও ক্লিপও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্পিকার ওম বিড়লার উদ্দেশে রাহুলকে মাইক চালুর অনুরোধ করতে শোনা যাচ্ছে। খবর, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’র।

বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে নিট দুর্নীতি নিয়ে লোকসভায় বলতে গিয়েছিলেন রাহুল। সেই সময় ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে’ তার মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়। রাহুল এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্পিকার জানান, তিনি রাহুলের মাইক্রোফোন বন্ধ করার কোনো নির্দেশ দেননি। তবে এর পরেই নিটের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে বিতর্কের দাবি কার্যত খারিজ করে দিয়ে তিনি বলেন, আলোচনা রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর হওয়া উচিত। অন্য বিষয়গুলো হাউসে রেকর্ড করা হবে না। নিটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে সোমবার পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতবি করে দেন স্পিকার।

গত বছরের মার্চ মাসে লন্ডনে গিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের সদস্যদের একাংশের সঙ্গে একটি আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাহুল। সেখানে কথা বলতে গিয়ে তিনি দেখেন মাইক খারাপ। রাহুল তখন বলেছিলেন, ‘ভারতীয় সংসদে কিন্তু মাইক খারাপ হয়নি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিতর্কের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।

বিদেশের মাটিতে রাহুলের এই বক্তব্যকে ‘দেশের অপমান’ বলে চিহ্নিত করেছিল বিজেপি। কংগ্রেসের তরফে পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছিল, নোটবন্দি, জিএসটি, চীনা আগ্রাসনের মতো বিষয় নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি। বিরোধীদের মাইক বন্ধ করে বার বার ‘কণ্ঠরোধ’ করেছে মোদি সরকার।

রাহুল বলেন, বিরোধীরা চাইছিল দেশের যুবসমাজের উদ্দেশে সরকার এবং বিরোধীদের একটি যুগ্ম বার্তা যাক। মোদি সরকার সেটা চায়নি। এরপরেই নিট নিয়ে বলতে গেলে রাহুলের মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়। সংসদে আওয়াজ তুলতে গেলে তার মাইক বন্ধ করে তরুণদের কণ্ঠ দমন করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে রাহুল জানান।

উল্লেখ্য, নিট বা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট হলো ভারতের শিক্ষা কার্যক্রমে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করার পর চিকিৎসক পেশায় যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম প্রবেশিকা পরীক্ষা।

/এমএইচআর

Exit mobile version