Site icon Jamuna Television

হার্দিকের চোখে এক নদী জল

ইতিহাস রচনা করলো ভারত। দ্বিতীয়বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরলো রোহিতের দল। আসরে তারই সহযোদ্ধা-সহঅধিনায়ক ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ফাইনাল ম্যাচ জেতার পর তাই পান্ডিয়ার চোখে ছিল অশ্রু। শুধু অশ্রু বললে ভুল হবে, ছিল আনন্দ অশ্রু।

ফাইনালে নামার আগে অবশ্য নিজের লুক কিছুটা পরিবর্তন করেছিলেন হার্দিক। গোঁফ রেখেছিলেন, তবে ফেলে দিয়েছিলেন দাঁড়ি। হঠাৎ দেখায় তাকে মনে হচ্ছিল ‘জওয়ান’। আসলে তো তিনি জওয়ানই। কোনো জওয়ান দেশ রক্ষায় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন উর্দি গায়ে চড়িয়ে; আর হার্দিক গায়ে জড়িয়েছেন নীল-কমলা জার্সি। সেটাও দেশ মাতৃকার সম্মান অর্জনেই। দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে।

ক্যাপ্টেন রোহিত যখন শেষ ওভার করার দায়িত্ব দেন সহঅধিনায়ককে, তখনও দল ঝুঁকির মধ্যে। কারণ ক্রিজে ছিলেন ডেভিড মিলার। যে কোনো মুহূর্তে বড় শট খেলে তিনি ঘুরিয়ে দিতে পারেন ম্যাচের মোড়।

কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়ার কাঁধে তো অনেক দায়িত্ব। তা তিনি ভালো করেই জানেন। প্রথম বলটা একটু লেলিয়ে দিলেন মিলারকে। মিলারও সেই টোপে পা দিলেন। উঁচিয়ে মারলেন। তবে, সবথেকে বড় কাজটা করলেন বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করা সুরিয়াকুমার। দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে মিলারকে কিলারের ভূমিকায় যেতে দিলেন না তিনি। কাগিসো রাবাদাকেও আউট করলেন হার্দিক। বাকি বলগুলো দুই ব্যাটার কেশব মহারাজ আর নরকিয়ে টেনেটুনে চালিয়ে নিলেন আরকি। ততক্ষণে নিশ্চিত হয়ে গেছে, শিরোপা উঠছে কার ঘরে।

এমন এক শেষ ওভার করে দলকে জিতিয়েছেন হার্দিক। তাই, ম্যাচ শেষে তার চোখ ছিল ভেজা। শুরুতে বোধহয় একটু লুকাতে চাইলেন, কিন্তু পারলেন কই। ক্যামেরাও বার বার খুঁজে ফিরছিল তার চোখ দুটো।

হয়ত ক্যামেরাম্যানও খুঁজছিলেন আবেগে ভাসা এক হার্দিককে। যে কিনা শত প্রতিকূলতায় ভাসতে জানে, শত বাঁধা পেরুতে জানে, শত কষ্টে হাসতে জানে।

/এমএমএইচ

Exit mobile version