Site icon Jamuna Television

অবিশ্বাস্য এক সেইভ করে ব্যাঙ্কসের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন তুরস্কের গোলকিপার

ছবি: সংগৃহীত

অষ্ট্রিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে ১৬ বছর পর ইউরোর শেষ আটে নাম লিখিয়েছে তুরস্ক। মেরিহ দেমিরেল জোড়া গোল করলেও আলোচনায় এগিয়ে তুরস্কের গোলরক্ষক ফেহমি ম্যার্ট গিনক। ১৯৭০ বিশ্বকাপে ইংলিশ গোলকিপার গর্ডন ব্যাঙ্কসের সেই অবিস্মরণীয় সেভ এবারের ইউরোতে মনে করিয়ে দিলেন তুরস্কের গোলকিপার ম্যার্ট গিনক।

ইউরোপের কিংবদন্তী গোলরক্ষক গর্ডন ব্যাঙ্কস। ছিলেন ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য। টানা ছয় বার জিতেছেন ফিফার বর্ষসেরা গোল কিপারের খেতাব। সব কিছু ছাপিয়ে তিনি সবার মনে জায়গা করে নিয়েছেন অভাবনীয় এক সেভের জন্য।

সত্তরের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ। প্রথমার্ধে বক্সের ভিতর থেকে ফুটবল কিংবদন্তি পেলের জোরালো হেড। বলটি মাটিতে ড্রপ খেয়ে গোল পোস্টে ঢুকেই যাচ্ছিল প্রায়। কিন্তু অকল্পনীয় ক্ষিপ্রতায় নিজের শরীরের পেছন দিকে ডাইভ দিয়ে একদম গোলমুখ থেকে তা আটকে দেন ব্যাঙ্কস। এতেই নাম লেখান ইতিহাসের পাতায়। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ব্রাজিল জিতলেও ব্যাঙ্কসের সেভ পেয়ে যায় অমরত্ব।

আবারো দেখা মিললো সেই দূর্দান্ত গোল কিপিংয়ের। এবার সেই চোখ জুড়ানো নজির গড়লেন গিনক। যা তুলনা করা হয়েছে ব্যাঙ্কসের সেই অমরত্ব পাওয়া সেইভের সঙ্গে। ম্যাচের অন্তিম সময়ে তুরস্কের বক্সের ভেতর একদম কাছ থেকে লাফিয়ে হেড করেন ক্রিস্টফ বমগার্টনার।

ঠিক পেলের হেডের মতোই ড্রপ খেয়ে খুঁজে নিচ্ছিল জালের ঠিকানা। কিন্তু অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় ডাইভ দিয়ে তা বাঁচিয়ে দেন গিনক। ব্যাঙ্কসের মতো বল অতটা নাগালের বাইরে না থাকলেও সবকিছুই ছিল অনেকটা ব্যাঙ্কসের সেভের মতোই।

দলকে রক্ষা করে খ্যাপাটে উল্লাসে মেতে ওঠেন গিনক। সতীর্থরাও উদযাপনে মতে ওঠে তাকে ঘিরে। শুধু তাই নয় প্রশংসা কুড়িয়েছেন প্রতিপক্ষ কোচের কাছ থেকেও। অস্ট্রিয়ার কোচ রালফ রাংনিক বলেন, দুই গোলে পিছিয়ে থাকার পর কাজটা সহজ নয়। দল সবকিছুই চেষ্টা করেছে। একটি গোল ফিরিয়ে দিয়েছি, সমতা ফেরানোর যথেষ্ট সময়ও ছিল। ভেবেছিলাম, সমতা আমরা ফিরিয়েই ফেলেছি। কিন্তু গোলবারে একজন গর্ডন ব্যাঙ্কস থাকলে কাজটা কঠিন।

এবারের ইউরোতে গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেয়া অস্ট্রিয়ার পথচলা থেমে গেল শেষ ষোলোয় ঐ গিনকের কারণেই।

/আরআইএম

Exit mobile version