Site icon Jamuna Television

মনুষ্যবিহীন নৌযান আনলো হুতি

ফিলিস্তিন, তুফান আর হাতিমের মতো মারণাস্ত্রের পর এবার নতুন ধরনের মনুষ্যবিহীন নৌযান আনলো ইয়েমেনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। ফ্লাড অব ডেস্ট্রাকশন-খ্যাত এই ড্রোন বোটের মাধ্যমে আবারও নিজেদের সামরিক সক্ষমতার প্রমাণ দিলো ইরান সমর্থিত বাহিনীটি। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই চালকবিহীন নৌযানের মাধ্যমে মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা যেতে পারে পণ্যবাহী বিশাল সব জাহাজকে।

স্বল্প থেকে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা অত্যাধুনিক হাইপারসনিক মিসাইল…কি নেই হুতিদের সমরভাণ্ডারে? বিশাল মারণাস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বিশ্বকে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। গাজায় আগ্রাসনের প্রতিবাদ কিংবা ফিলিস্তিনিদের সহমর্মিতায়…কখনো ড্রোন কখনোবা চালকবিহীন নৌযান দিয়ে জাহাজে হামলা করে প্রায়শই শক্তিমত্তার জানান দেয় বাহিনীটি।

লোহিত সাগরে চলাচল করা জাহাজগুলোর কাছে আতঙ্কের অন্য নাম ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহী। যাদের চালকবিহীন নৌযানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক জাহাজ। এবার, স্থানীয়ভাবে তৈরি এমন আরও একটি ড্রোন বোট প্রকাশ্যে আনলো সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এ নিয়ে, শুধু জুন মাসেই বিশেষায়িত চারটি অস্ত্র প্রকাশ্যে নিয়ে এলো বাহিনীটি। রোববার, যার একটি ভিডিও-ও প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশেষ এই মনুষ্যবিহীন নৌযানের নাম, তুফান আল মুদাম্মার। যার অর্থ, ধ্বংসের বন্যা। অত্যাধুনিক এই ড্রোন বোটে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ প্রযুক্তি। ((গ্রাফিক্স)) ম্যানুয়াল কিংবা রিমোট কন্ট্রোল দুভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এটিকে। যেকোনো সামুদ্রিক অবস্থায় ছুটতে পারবে সর্বোচ্চ ৪৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে, এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে নৌযানটিকে। বহন করতে পারবে এক থেকে দেড় হাজার কেজি ওজনের ওয়ারহেড। আর, উচ্চ ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষমতা তো রয়েছেই।

বিশেষ ধরনের এই চালকবিহীন নৌযান ছাড়াও হুতিদের ভাণ্ডারে আছে, তুফান-১ এর মতো ড্রোন বোট। আকারে ছোট হলেও দ্রুতগতি আর নজর ফাঁকি দিয়ে হামলা করতে নজিরবিহীন সেটি। এছাড়াও আছে ফিলিস্তিন ও হাতেম-২ এর মতো হাইপারসনিক মিসাইল। যা দিয়ে নিমিষেই উড়িয়ে দেয়া যেতে পারে শত্রুপক্ষের ঘাঁটি।

/আরআইএম

Exit mobile version