Site icon Jamuna Television

সংসদ ভেঙে নির্বাচন করলে সংবিধানের সাথে প্রতারণা হবে: ব্যারিস্টার তানজিব

এই মুহূর্তে সংসদ ভেঙে নির্বাচন করলে সংবিধানের সাথে প্রতারণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম। আজ সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা টেলিভিশনে প্রচারিত টকশো ‘রাজনীতি’তে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। আজকের আলোচনার বিষয় ছিলো ‘সংবিধানেই সমাধান?’ টকশোটি সঞ্চালনা করেন রোকসানা আনজুমান নিকোল।

ব্যারিস্টার তানজিব বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন ২০১৪ সালের নির্বাচনটা যথাযথভাবে হয়নি সেকারণে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে। এটা মোটেও যুক্তিযুক্ত বিষয় না। যদি পাঁচ বছর ধরে এই প্রয়োজনীয়তাটুকু উদ্ভব না হয়, যখন এই তিন মাসের মধ্যে আমরা এন্ট্রি করলাম। এই তিনমাস হচ্ছে সংবিধানের ১২৩ এর ৩(ক)তে পড়ে গেছে। সেখানে বলা আছে, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই নির্বাচন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আমরা পড়ে গেলে সেই অনুযায়ী আগাতে হবে। ধরেন, তিন মাস শেষ হওয়ার একদিন আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন যদি বলে আমি আরো তিন মাস থাকবো। তাহলে সেটি হবে সংবিধানের একটা ধারা পাশ কাটিয়ে আরেকটা ধারায় যাওয়া এক ধরনের প্রতারণা।

তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস পূর্বে নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ নির্বাচনের সময় সংসদ বহাল থাকবে। এ বিধানটা করা হয়েছিলো যাতে সংসদের ধারাবাহিকতায় কোনো ধরনের বিচ্যুতি না ঘটে। সংসদ থাকা অবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিতরা সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। তাদের মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচিতরা দায়িত্ব নেবেন।

খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হলে এক ধরনের বাধ্যবাধকতার মধ্যে তিনি থাকবেন। সেক্ষেত্রে রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে ব্যারিস্টার তানজিব বলেন, খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দিতে হলে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যগত কারণে দিতে পারবে। অন্য কোনো কারণে সরকার চাইলেও দিতে পারবে না। নতুন একটা মামলায় তার সাজা হয়েছে। একই সঙ্গে আগের একটি মামলায় সাজা বেড়েছে। তিনি কোনো আপিল করেননি। সুতরাং এই মুহূর্তে তার মুক্তির কোনো উপায় নেই। তিনি রাজনীতিতে কোনো প্রভাব রাখাতে পারবেন না। নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না। কারণ প্যারোলে মুক্তি পেলেই সাজা বাদ হয়ে যাবে না।

Exit mobile version