Site icon Jamuna Television

দুর্নীতির অনুসন্ধানের জেরে যমুনা টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

মামলার আসামি এনামুল (বাঁয়ে) ও মাহমুদুল হক

দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জন্য তথ্য সংগ্রহের জেরে যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধানী সেল ‘ইনভেস্টিগেশন ৩৬০ ডিগ্রি’র এডিটর আলাউদ্দিন আহমেদ (অপূর্ব আলাউদ্দিন) ও ভিডিও জার্নালিস্ট নাহিদ হোসেনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন অপূর্ব আলাউদ্দিন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাতে তার অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানা।

মামলার আসামিরা হলেন, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও ডিপো ইনচার্জ, সাভার ট্রানজিট কার্যালয়) মো. মাহমুদুল হক ওরফে তুষার, একই প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র কর্মকর্তা এনামুল হক ও নৈশপ্রহরী মো. রিয়াদ। এ মামলায় আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

সাংবাদিক অপূর্ব আলাউদ্দিন। ফাইল ছবি

মামলার এজাহারে অপূর্ব আলাউদ্দিন উল্লেখ করেন, সম্প্রতি সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর যাদুরচর এলাকার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের অধিনস্থ স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপক মাহমুদুল হকের দুর্নীতি, অর্থ আত্নসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ সংক্রান্ত বেশকিছু নথিপত্র এবং নিরীক্ষা অধিদফতরের প্রতিবেদন তার হাতে আসে। তিনি এসব নথিপত্র কয়েকজন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে বুঝে নেন এবং সেসব বিশ্লেষণ করেন। পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিকতার নীতিমালা মেনে মাহমুদুলের দুর্নীতির বিষয়ে নথিপত্রের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এবং তার বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। এছাড়া তিনি হেমায়েতপুরে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির অফিসে গিয়েও যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তবে তিনি যোগাযোগ করতে পারেননি।

আরও উল্লেখ করেন, গত বুধবার (৩ জুলাই) বেলা আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে তিনি ভিডিও জার্নালিস্ট নাহিদ হোসেনকে নিয়ে পুনরায় যাদুরচরে অবস্থিত স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডে গিয়ে মাহমুদুল হক ওরফে তুষারের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় মাহমুদুল হক তুষারসহ তার হুকুমে এনামুল, রিয়াদসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন সাংবাদিক অপূর্ব আলাউদ্দিন ও নাহিদকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। মারধরে তিনি বুকের বাম পাশে মারাত্নক ব্যথাসহ জখম হন। হামলার একপর্যায়ে যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অপূর্ব আলাউদ্দিন জানান, হামলার পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোনো সংবাদ করলে কিংবা মাহমুদুলের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গেলে খুন করে মরদেহ গুমের হুমকি দেন দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তা। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর হুমকিও দেয়া হয়।

এদিকে, সাংবাদিক অপূর্ব আলাউদ্দিন ও ভিডিও জার্নালিস্ট নাহিদ হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ এবং আইন, বিচার ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ল’ রিপোর্টার্স ফোরামসহ (এলআরএফ) বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।

/এনকে

Exit mobile version