Site icon Jamuna Television

‘যদি দলে নেয়া হয়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতেও উন্মুক্ত থাকবো’

ছবি: সংগৃহীত

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষেই সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। এর আগে ওয়ানডে ও টেস্টের পাটও চুকিয়ে ফেলেছিলেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার তারকা এই ওপেনারের অধ্যায় যেন শেষ হচ্ছে না এখনই। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেও দলের প্রয়োজনে আবারও খেলতে চান আগ্রাসী ওপেনার।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বিশাল এক পোস্টে ওয়ার্নার লিখেছেন, আপাতত আরও কিছুদিন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাব এবং যদি দলে নেয়া হয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতেও উন্মুক্ত থাকব আমি।।

অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটার লিখেছেন, আমি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাব। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতেও প্রস্তুত যদি আমাকে নেওয়া হয়। খেলোয়াড় ও স্টাফদের প্রতি ধন্যবাদ আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য। এখানে হোয়াটসঅ্যাপের ত্রুটিগত কোনো ব্যাপার ঘটেনি। আমার কণ্ঠস্বর শুনতে আপনাদের কান সজাগ রাখা উচিত।

ইনস্টাগ্রামে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের’ স্পোর্টস পাতা ওয়ার্নার শেষ করেছেন। সেই পাতায় বড় করে ওয়ার্নারের কোনো এক টেস্টে উদ্‌যাপনের ছবি রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটারকে নিয়ে প্রশংসা করা হয়েছে। তখন তিনি নিজের ২০০৯ থেকে ২০২৪—১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের একটা সারমর্ম লিখেছেন। অস্ট্রেলিয়ার মায়া যে তিনি কাটাতে পারেননি, সেটা ওয়ার্নারের দীর্ঘ পোস্টেই বোঝা গেছে।

অজি বাঁহাতি ব্যাটার লিখেছেন, গল্প শেষ। সর্বোচ্চ পর্যায়ে এত দীর্ঘ সময় খেলা অবিশ্বাস্য এক অভিজ্ঞতা। অস্ট্রেলিয়া আমার দল ছিল। আমার ক্যারিয়ারের অধিকাংশই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। এমনটা করতে পারা সম্মানের বিষয়। সব সংস্করণে ১০০-এর বেশি ম্যাচ খেলা আমার জীবনের সারমর্ম।

তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৮ হাজার ৯৯৫ রান করে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় সফলতম ব্যাটার ওয়ার্নার (রিকি পন্টিংয়ের রান ২৭ হাজার ৩৬৮)। সেঞ্চুরিতেও ওয়ার্নারের (৪৯টি) ওপরে আছেন কেবল পন্টিং (৭০টি)। তিন সংস্করণই একশর বেশি ম্যাচ খেলা অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র ক্রিকেটার ওয়ার্নারই।

/আরআইএম

Exit mobile version