Site icon Jamuna Television

এনজোর গোল কেড়ে নেয়ার ইচ্ছা ছিলো না মেসির

সংগৃহীত

চিরচেনা সেই মেসিকে মাঠে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ঠিক ভাবে। ইনজুরিও ভোগাচ্ছে বেশ। চলতি কোপা আমেরিকার শুরু থেকেই নিজেকে যেন হারিয়ে খুঁজছিলেন ফুটবল জাদুকর। গোলমুখে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে কানাডার বিপক্ষে সেমিফাইনালে স্কোরশিটে নিজের নাম লেখান এলএমটেন।

তবে গোল নিয়েও রয়েছে কিছুটা সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এই গোল নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অনেকেই আবার এখানে দেখছেন ভাগ্যের ছোঁয়াও। কেননা এনজো ফার্নান্দেজের শটে কেবল পা ছুঁয়ে দিয়ে বল জালে পাঠান এই ফরোয়ার্ড। তাই প্রশ্ন উঠছে, এনজো’র গোলটা কি কেড়ে নিলেন মেসি।

এ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলেছেন এই ফুটবল জাদুকর। গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি জানান, ফার্নান্দেজের গোলটি নিজের নামে লেখানোর উদ্দেশ্য ছিল না তার। মেসি বলেন, এনজোর সাথে কথা হয়েছে আমার। ওকে বলেছি, ওর গোলটি কেড়ে নেয়ার কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না আমার। কিন্তু আমি দেখেছি গোলকিপার শুয়ে পড়ছে, বলটাও ধীরে আসছে। তাই আমি বলের গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন করে দিয়েছিলাম।

গোলটি নিয়ে অফসাইডের আবেদন করেছিলেন কানাডার ফুটবলাররা। তবে মেসি বক্সে থাকা অবস্থায় কানাডার এক ডিফেন্ডার রক্ষণে বেশি নিচে নেমে যান। তাই অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে যান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ভিডিও রিপ্লে দেখে তাই গোলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন রেফারি।

এই গোলের মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকটি রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন লিওনেল মেসি। সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলে ইরানের আলি দাঈ’র ১০৯টি গোল ছাড়িয়ে দুইয়ে উঠে এসেছেন এলএমটেন। পাশাপাশি ব্রাজিলের জিজিনিওর পর কোপা আমেরিকার ইতিহাসে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে ছয়টি আলাদা আসরে গোলও করেছেন মেসি।

কোপা আমেরিকায় মেসির গোলের সংখ্যা এখন ১৪টি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাব পেতে হলে তাকে পেছনে ফেলতে হবে স্বদেশি নরবের্তো মেন্ডেজ ও ব্রাজিলের জিজিওনের ১৭ গোলের মাইফলক। ফাইনালের মঞ্চে প্রতিপক্ষ যখন কলম্বিয়া তখন এই সমীকরণ মেলানো খুব একটা সহজ হবে না এই ফুটবল জাদুকরের।

/ওয়াইবি/এমএইচআর

Exit mobile version