Site icon Jamuna Television

ঝুম বৃষ্টিতে ভিজছে রাজধানী

ফাইল ছবি।

চলছে আষাঢ় মাস। আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) সাপ্তাহিক ছুটির দিন। সাতসকালেই রাজধানীতে আকাশের বুক চিরে হাজির ঝুম বৃষ্টি। এই জলের ধারায় সিক্ত হচ্ছে কদম, কাঠগোলাপসহ নানা রকম ফুল। সিক্ত হচ্ছে জীর্ণ ছাদ, তপ্ত পিচ। ভোর থেকেই একনাগাড়ে বৃষ্টি চলছে, মাঝে একটু কমে গেলেও কিছু সময় পর বর্ষণ ফেরে তার আপন মহিমায়। জানা গেছে, এই বৃষ্টির স্পর্শে ‘জাদুর শহর’ রাজধানীর প্রায় সব এলাকাই ভিজছে।

আষাঢ়ের শেষ সময়ের বৃষ্টির কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল খুবই কম ছিল। এর মধ্যেও যারা জরুরি কাজে বের হয়েছেন, তারা ছাতা মাথায় নাহয় ভিজে ভিজে গন্তব্যে গেছেন। কারও কারও শরীর মুড়েছে রেইনকোটে।

বৃষ্টিতে খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছে। তারা বলছেন, এমন বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ে। এছাড়া, ভোর থেকে টানা বৃষ্টিতে নগরীর কয়েকটি সড়কে জলজট দেখা দিয়েছে। তবে ছুটির দিন হওয়ায় খুব বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে না নগরবাসীকে।

ঝুম বৃষ্টিতে রাজধানীর নিচু এলাকাগুলোতে পানি জমতে দেখা গেছে। শান্তিনগর, কাকরাইল, মালিবাগ, বেইলি রোড, মধুবাগ, রামপুরা, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, শ্যাওড়াপাড়া, কাজীপাড়াসহ মিরপুরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমতে দেখা গেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। যার ফলে দেশের সব বিভাগেই শুক্রবার রয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। এর মধ্যে সিলেট, ময়মনসিংহসহ ৪ বিভাগে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও আছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের সব বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দেশের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়বৃষ্টি ও ভারি বর্ষণের প্রবণতা রোববার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বর্ধিত ৫ দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় কক্সবাজারে ৩৩৪ মিলিমিটার। এসময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

/এএম

Exit mobile version