Site icon Jamuna Television

বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত কক্সবাজারে, ১৩০ মিলিমিটারে ডুবলো ঢাকার রাস্তাঘাট

ফাইল ছবি।

চলছে আষাঢ় মাস। আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) সাপ্তাহিক ছুটির দিন। সাতসকালেই রাজধানীতে আকাশের বুক চিরে হাজির ঝুম বৃষ্টি।এতে রাজধানীর নানা সড়কে জমে গেছে পানি। কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমড়সমান পানি। এতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসী ও শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আজ শুক্রবার সকাল থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীতে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে কক্সবাজারে। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টায়) কক্সবাজারে ৩০৯ মিলিমিটার এবং সন্দ্বীপে ২১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। মিরপুর, আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, গ্রিনরোড, শান্তিনগর, মিন্টুরোড, সেগুনবাগিচা, নয়াপল্টন, শান্তিনগর ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন সড়কে হাটুপানি জমে গেছে। এসব এলাকার দোকানপাট ও বাসা-বাড়িতেও ঢুকেছে পানি।

এতে বিপাকে পড়েছেন জরুরি কাজে বের হওয়া পথচারী ও খেটে খাওয়া মানুষ। দোকানপাটও খুলতে পারছেন না অনেকে।

নগরবাসী বলছেন, বৃষ্টি হলেই জলবদ্ধতা রাজধানীর নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তারা।

থেমে থেমে এমন বৃষ্টি চলতে সারাদিন চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে আগামীকাল থেকে বৃষ্টি একটু কমে আসবে।

আবহাওয়া অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবেই রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে এমন মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। চাঁদপুর, যশোর গোপালগঞ্জ ও বগুড়াসহ ৮টি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, কক্সবাজার, সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়া ও কুষ্টিয়াসহ ৮টি অঞ্চলে অতি-ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এদিকে বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড় ধসের শঙ্কার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ফলে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয় সংস্থাটি। এর আগে, গতকাল ৪৮ ঘণ্টার ভারী বর্ষণের সতর্কবাণী দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। দেশের পাঁচ বিভাগে ভারী বর্ষণের সঙ্গে দুই বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কার কথা জানায় সংস্থাটি।

/এমএইচ

Exit mobile version