Site icon Jamuna Television

তেহরানে হিজাবকাণ্ডের পর খুললো টার্কিশ এয়ারের অফিস

তেহরানে তুর্কি এয়ারলাইনসের একজন নারী কর্মী বাধ্যতামূলক হেডস্কার্ফ আইনের অমান্য করায় বন্ধ করে দেয়া হয় কোম্পানিটির অফিস। এ ঘটনার দু’দিন পর দেশটিতে আবার খোলা হয়েছে তার্কিশ এয়ারলাইনস অফিস। শুক্রবার (১২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে তুর্কি টুডে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) অভিযান চালিয়ে অফিসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিক প্রচার না পেলেও পরদিন বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি উঠে আসে। 

 পুলিশ সোমবার টার্কিশ এয়ারলাইনসের ওই অফিসে যায়। সেখানকার নারী কর্মীদের হিজাব পরতে না দেখে সতর্ক করে পুলিশ। তখন তাৎক্ষণিক হিজাব পরতে হুমকিও দেওয়া হয়। বলা হয়, নারীদের মাথা ঢাকতে অস্বীকৃতি ইরানের আইনের লঙ্ঘন। ওই সময় নারী কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় পুলিশ। 

পরের দিন পুলিশ আবারও সেখানে যায়। এবার তারা অফিসটি বন্ধ করে দেয়। যদিও তুর্কি এয়ারলাইন্স এখনও এই ঘটনার বিষয়ে কোনো বিবৃতি জারি করেনি।

তেহরানের প্রসিকিউটর আলী সালেহি তুর্কি এয়ারলাইন্সের অফিস সিল করার জন্য আদালতের আদেশ জারি করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘এই ঘটনার বিষয়ে কোনো আদালতের আদেশ জারি করা হয়নি।’ তবে আইন মানা হবে এমন শর্তে খুলে দেয়া হয়েছে অফিস। সেই সাথে তুলে নেয়া হয়েছে সিল।

উল্লেখ্য, ইরানে কর্মক্ষেত্রে ও ঘরের বাইরে হিজাব বা মাথা ঢাকা বাধ্যতামূলক। কর্মীরা হিজাব না পরায় গত কয়েক বছরে রেস্তোরাঁ, দোকান, ফার্মেসিসহ অসংখ্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নারীদের গ্রেফতার, জরিমানাসহ অন্যান্য শাস্তি হরহামেশাই দেওয়া হয়। এ নিয়ে দেশটিতে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।  

/এআই

Exit mobile version