ব্যাংকের তুলনায় হাতে টাকা রাখার প্রবণতা বাড়ছে গ্রাহকদের। এক মাসের ব্যবধানে গ্রাহকের কাছে এমন টাকার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ব্যয় বেড়েছে। তাই কমেছে সঞ্চয় প্রবণতা। সম্প্রতি কিছু ঘটনায় ব্যাংকের প্রতি আস্থাহীনতা দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকদের ধারণা- সেই কারণেও, কেউ-কেউ হাতে বেশি টাকা রাখছেন।
ঋণের সুদহার বাজার ব্যবস্থার ওপর ছেড়ে দেয়ার পর আমানতের সুদহার বেড়েছে। তারল্য সংকট কাটাতে ১২ শতাংশের বেশি সুদে আমানত নিচ্ছে অনেক ব্যাংক। এরপরও ব্যাংকের পরিবর্তে হাতে টাকা রাখার প্রবণতা বেড়েছে গ্রাহকদের মাঝে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত বছরের নভেম্বর থেকে নিজের কাছে টাকা রাখার প্রবণতা বাড়ছে। চলতি বছরেও তা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ মে মাসে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটিতে। যা আগের মাসের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। এ জন্য মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতাও দায়ী করছেন, ব্যাংকার ও বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্যোগে আস্থাহীনতা বেড়েছে গ্রাহকদের। আমানত ফিরে পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। যে কারণে আগেভাগেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন অনেকে।
/এটিএম

