কোপা আমেরিকার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। সর্বোচ্চ ১৬তম কোপার শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে এদিন মাঠে নামবে আলবিসেলেস্তেরা। একইসঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো স্বপ্নের ফাইনাল জয়ের লক্ষ্য হামেস রদ্রিগেজদের। সোমবার (১৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে এই দুদল।
এদিকে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে লাতিন আমেরিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের এই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লিওনেল মেসির ফিটনেস নিয়ে সংশয় রয়েছে, এমন খবর চাউর হয়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ‘ফুটবল জাদুকর’ নিজেই। জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ইনজুরির ভয়মুক্ত।
মেসি বলেন, শারীরিকভাবে কানাডার বিপক্ষে (সেমিফাইনালে) আমি দারুণ ছন্দে ছিলাম। চিলির বিপক্ষে আমি শুরুতে ভালোই অনুভব করছিলাম, এরপর উরুতে চোট পেয়ে ধীর হয়ে গিয়েছিলাম এবং ঠিকমতো দৌড়াতে পারিনি। ইকুয়েডরের বিপক্ষে ওই সমস্যা কাটিয়েই মাঠে ফিরেছিলাম।
রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী বলেন, আমি এই ইনজুরির ভেতর দিয়েই যাচ্ছি এবং মনে রাখছিলাম, কী হয়েছিল আগে। কানাডার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটিতে আমি আগের থেকে অনেক ভালো ছিলাম। ইনজুরি ভয় কেটেছে। এখন ভালো অনুভব করছি, ফাইনালে আরও ভালো অনুভব করবো।
পেনাল্টি বা টাইব্রেকে এমি মার্টিনেজের সাফল্য নিয়ে সর্বজয়ী এই ফুটবলার বলেন, পেনাল্টির ক্ষেত্রে যদিও সবাই বলে, ভাগ্যের ব্যাপার কিন্তু দিবু (এমিলিয়ানো মার্টিনেজ) মাঠে থাকলে আমাদের তেমনটা মনে হয় না। সে একটি কিংবা দুটি পেনাল্টি সেভ করবেই, যা দলকে এগিয়ে রাখে। আমরা ইকুয়েডরের বিপক্ষে ভাগ্যবান ছিলাম। কারণ, তারা অনেক সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু এমি আমাদের বাঁচিয়েছে।
লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা গত আসরের কোপা আমেরিকা জেতে। এরপর কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরে দলটি। আবার কোপা আমেরিকা শিরোপার সামনে তার দল। এটা জিতলে স্পেনের পর আর্জেন্টিনা হবে দ্বিতীয় দল, যারা পরপর মহাদেশীয়-বিশ্ব-মহাদেশীয় কাপের চ্যাম্পিয়ন। স্পেন ২০০৮-এ ইউরো, ২০১০-এ বিশ্বকাপ এবং ২০১২ তে ফের ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়।
সবশেষ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের পর আর হারেনি কলম্বিয়া। টানা ২৮ ম্যাচ ধরে অপরাজিত হামেস রদ্রিগেজের দল। অন্যদিকে, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ১০ ম্যাচে অপরাজিত। সবশেষ ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে উরুগুয়ের কাছে হেরেছিল এঞ্জো-লাউতারোরা।
/এএম

