Site icon Jamuna Television

ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির বৈঠক: হল বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়নি

কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় হগুলোকে শান্ত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখনই হল বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্যার এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে সোয়া ৫টার দিকে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের বাসভবনে জরুরি বৈঠকে বসে ঢাবির প্রভোস্ট কমিটি। বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

ঢাবি ভিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে— শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব হলে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবেন; প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে সার্বক্ষণিকভাবে হলে অবস্থান করবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন; হলসমূহে কোনো বহিরাগত অবস্থান করতে পারবেন না; যেকোনো ধরনের গুজব ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে; সকলকে নাশকতামূলক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বলা যাচ্ছে। কেউ নাশতকতামূলক কাজে জড়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে বৈঠকের বিষয়ে জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।

বৈঠকের পর রফিকুল ইসলাম আরও জানান, কোনো হলেই পুলিশ প্রবেশ করছে না। তবে শহীদুল্লাহ হলের পাশে পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে, আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুখোমুখি অবস্থান নেয় দুপক্ষ। এর মধ্যে বিজয় একাত্তর হলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ক্যাম্পাসের কয়েকটি হলে ভাংচুর করা হয়। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।

ছাত্রলীগের দাবি, তাদের ১০০ কর্মী আহত হয়েছেন। আর কোটা আন্দোলনকারীদের দাবি, তাদের প্রায় দুইশ জন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় আহতরা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সংঘের্ষের ঘটনায় আহত হয়ে সেখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন প্রায় দুইশ জন।

/এমএন

Exit mobile version