Site icon Jamuna Television

জনমনে স্বস্তি ফিরছে

কর্মঘণ্টা কমিয়ে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের অফিস খুলেছে। খুলে দেয়া হয়েছে কারখানাগুলো। আর আজ বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। তাতে ঘর থেকে বের হয়েছেন নগরবাসী। কেউ অফিসে যাচ্ছেন, কেউ প্রয়োজনীয় কাজ সারতে বেরিয়েছেন।

গত কয়েকদিনের বন্দিদশা থেকে বের হতে পারায় জনমনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। কেটে যাচ্ছে শঙ্কাও। সাধারণ মানুষ বলছে, গত কয়েকদিনে সৃষ্ট পরিস্থিতি ছিল ভয়ঙ্কর, আতঙ্কের। কারফিউ জারির পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।

গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ সকাল থেকেই রাজধানীতে মানুষের চলাচল দেখা গেছে বেশ। সড়কে মিলছে রিকশা-সিএনজি। চোখে পড়েছে বাসও। ঢাকার ফার্মগেট, মিরপুর, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, কল্যাণপুর, বনানী, তেজগাঁও, মহাখালীসহ বিভিন্ন রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট-ও দেখা গিয়েছে। মহাখালী থেকে গুলশান-১ নম্বর হয়ে বাড্ডার সড়কেও দেখা গেছে যানজট। একই পরিস্থিতি রামপুরা থেকে নতুনবাজারের সড়কেও। আবার কোনো কোনো জায়াগায় গণপরিবহন না পাওয়ায় এবং যানজটের কারণে অফিসগামী যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত বৃহস্পতিবার দিনভর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে রাজধানীতে। এদিন রাতে বন্ধ করে দেয়া হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা। তারও আগে বন্ধ হয় মোবাইল ইন্টারনেট। ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও পরিস্থিতি পুরো নিয়ন্ত্রণে না আসায় শুক্রবার রাতে কারফিউ জারি করে সরকার। সারাদেশে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। আর রোববার ও সোমবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে আরও একদিন (মঙ্গলবার) সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়।

এরমধ্যে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ এলে কাউফিউ শিথিলের সময়সীমা বাড়ানো হয়। পাশাপাশি সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। খুলে অফিস, ব্যাংক, কারখানাও। সাধারণ মানুষ অপেক্ষা করছেন, সবকিছু যেন আগের মতোই স্বাভাবিক হয়। সব যেন হাতের নাগালে মিলে।

/এমএন

Exit mobile version