Site icon Jamuna Television

মার্কিন কংগ্রেসে চলছিল নেতানিয়াহুর ভাষণ, বাইরে তুমুল বিক্ষোভ

মার্কিন কংগ্রেসে যখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলছে তখন বাইরে চলছে নজিরবিহীন বিক্ষোভ। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফর ঘিরে প্রতিবাদে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। কেবল ক্যাপিটল হিল নয়, নেতানিয়াহুকে যুদ্ধাপরাধী আখ্যা দিয়ে শ্লোগানে মুখরিত হয়েছে ওয়াশিংটনের বিভিন্ন রাজপথ। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জিম্মি উদ্ধারের ইস্যু না থাকায় ক্ষোভ ঝেড়েছে ইসরায়েলিরাও। তেলআবিব বিরোধী আন্দোলনকারীদের ইরানের মদদপুষ্ট ইডিয়ট বলে আখ্যা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

মার্কিন কংগ্রেসে আইনপ্রণেতারা যখন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অভিবাদন জানাচ্ছিলেন, বাইরে তখন বিক্ষোভের আগুন। ক্যাপিটল হিলের সামনে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাকার্ড, ব্যানারে নেতানিয়াহুকে বলা হয় ‘ওয়ান্টেড ওয়ার ক্রিমিন্যাল’।

বিক্ষোভকারীদের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। ছোড়ে পিপার স্প্রেও। আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের দাবি করলেও সহিংস আচরণের অভিযোগ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আটকও করে বেশ কয়েকজনকে।

নেতানিয়াহুর সফর ঘিরে আগেই জোরদার করা হয়েছিল নিরাপত্তা। বিক্ষোভের জেরে ক্যাপিটল হিলের আশপাশে বেশ কিছু সড়কে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীর অন্যান্য এলাকায়ও। ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভের বিষয়টি এড়িয়ে না গিয়ে আন্দোলনকারীদের তীব্র নিন্দা জানান নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, অনেকেই শয়তানকে সমর্থন দিচ্ছে। হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের লজ্জিত হওয়া উচিত। অত্যাচারী ইরান মদদ আর অর্থের যোগান দিচ্ছে। আপনারা ইরানের ধোকায় পড়ে ইডিয়টে পরিণত হয়েছেন।

নেতানিয়াহুর ভাষণ নিয়ে হতাশ ইসরায়েলিরাও। জিম্মিদের উদ্ধারের বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ স্বজনরা। একজন বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা নেতানিয়াহুর ভাষণে খুবই হতাশ। আশা করেছিলাম চুক্তির কথা বলবেন। যাতে বন্দিদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়।

আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা কেবল শুনতে চাই চুক্তি এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার কথা। অন্য কোনো বিষয়ের তোয়াক্কা করিনা আমরা।

/এটিএম

Exit mobile version