১৯৯২ সালে চালু হওয়া রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম পাকিস্তানের ১৪তম টেস্ট ভেন্যু। রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে এই স্টেডিয়াম। বর্তমানে আসন সংখ্যা ১৫০০০। পাকিস্তানের স্কোয়াডে ৬ পেসার থাকায় পাকিস্তানের বার্তাটা স্পষ্ট। পেস আক্রমণ দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং গুড়িয়ে দেয়ার পরিকম্পনা আটছে তারা। বাংলাদেশও প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরোদমে। প্রথম টেস্টের একাদশে সুযোগ পেতে পারেন ৪ পেসার।
সবার মনে প্রশ্ন একটাই, পেসারদের জন্য এই উইকেট কি অনেক সহায়ক? রাওয়ালপিন্ডির সাম্প্রতিক ইতিহাস কী বলছে? গত ৫ বছরে রাওয়ালপিন্ডিতে ৫টি টেস্ট হয়েছে। সংখ্যাটা কম, কারণ, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তান–ইংল্যান্ড টেস্টের পর এই মাঠে আর টেস্ট ম্যাচ হয়নি। রাওয়ালপিন্ডির উইকেটে ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে ১২ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট খেলে পাকিস্তান। এরপর এই মাঠে টেস্ট হয়েছে আরও ৪টি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে হওয়া সর্বশেষ টেস্টটিই ইতিহাসের অংশ। সেই টেস্টের প্রথম দিনে মাত্র ৭৫ ওভার ব্যাটিং করেই ৪ উইকেটে ৫০৬ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ওপেনিং জুটিতে ৩৫.৪ ওভারে ২৩৩ রান যোগ করেছিলেন বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রাওলি। টেস্ট ইতিহাসে টেস্টের প্রথম দিনে কোনো দলের ৫০০ রান তোলার রেকর্ড এটিই। আলোকস্বল্পতায় সেদিন খেলা হয় ৭৫ ওভার। সেই টেস্টে পাকিস্তানও প্রথম ইনিংসে করেছিল ৫৭৯ রান।
এখানে খেলা ৫ টেস্টের ৩টিতেই বেশ রান উঠেছে। সবচেয়ে কম রান উঠেছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টেস্টে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের কাছে ইনিংস ও ৪৪ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রান করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে করে ১৬৮। সেই টেস্টে বাংলাদেশের ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানের পেসাররা।
সর্বশেষ ৫ টেস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে পেসাররা উইকেট নিয়েছেন ৭৭টি। উইকেটপ্রতি রান দিয়েছেন ৩৫ করে, ওভারপ্রতি ৩.১৮। সেই তুলনায় স্পিনাররা কিছুটা নিষ্প্রভ। ৫ টেস্টে তারা উইকেট নিয়েছেন ৪৬টি। একটি উইকেট নিতে রান খরচ করেছেন ৫৫.৬৭ করে। স্পিনারদের চেয়ে পেসাররাই রাওয়ালপিন্ডিতে এগিয়ে থাকবে এটা নিশ্চিত।
তবে বোলারদের চেয়ে ব্যাটসম্যানরা বাড়তি সুবিধা পান রাওয়ালপিন্ডিতে। সর্বশেষ ৫ টেস্টে ব্যাটসম্যানদের গড় ৪১.৯০ অর্থাৎ ব্যাটাররা নিজের কাজটা করতে পারলে রাওয়ালপিন্ডির উইকেটেও বড় স্কোর সম্ভব।
/আরআইএম

