Site icon Jamuna Television

ভারতের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সবগুলো জলকপাট খুলে দেয়ার অভিযোগ

বাংলাদেশে বন্যার কারণে আলোচনায় ভারতের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। অভিযোগ উঠেছে সতর্কতা ছাড়াই ত্রিপুরার এই জলাধারের সবগুলো জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। এতে ত্রিপুরার বিভিন্ন জনপদ ভাসিয়ে উজানের পানি হু হু করে ঢুকছে বাংলাদেশে। সবশেষ ১৯৯৩ সালে এই বাঁধের স্লুইস গেট খোলা হয়েছিলো। এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় বন্যায় প্রাণ গেছে অন্তত ৭ জনের। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৮ জেলায়।

প্রবল বন্যায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের ত্রিপুরার হাওড়া, ধলাই, মুহুরি ও খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে গোমতী জেলায় অবস্থিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ডুম্বুর জলাধারও। এই পরিস্থিতিতে স্লুইস গেট খুলে বাড়তি পানি ছেড়ে দিয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। যা গেল ৩১ বছরের মধ্যে এই প্রথম। ফলে ত্রিপুরার গোমতী ও সিপাহীজলা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িঘর ও কৃষি জমি ভেসে গেছে। সেই পানি ঢুকছে বাংলাদেশের ফেনী, কুমিল্লা’সহ বিভিন্ন জেলায়। বিপাকে এসব অঞ্চলের লাখ-লাখ মানুষ।

ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞান দফতর বলেছে, পুরো ত্রিপুরা রাজ্যেই আগামী দু’দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে একাধিক জেলায়। রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী, সিভিল ডিফেন্স এবং ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। রাজ্যেজুড়ে খোলা হয়েছে প্রায় ২শ’টি ত্রাণ শিবির।

এর আগে, মঙ্গলবার ভূমিধসে গুড়িয়ে যায় সিকিমের তিস্তা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একাংশ। ৫১০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি একটি পাহাড়ের পাশে অবস্থিত ছিলো। কয়েকদিন ধরেই ভূমিধসের ঝুঁকিতে ছিলো পাহাড়টি। আর তাই, আগেই সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো কর্মীদের। কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারি বৃষ্টির কারণে ঘটেছে এমন ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা।

/আরআইএম

Exit mobile version