Site icon Jamuna Television

৪র্থ দিনে বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

সকালে উইকেটে যথেষ্ট আর্দ্রতা রয়েছে। এ বেলায় একটু বাড়তি সুবিধা পাবেন পেসারররা। বল সুইং করবে, একস্ট্রা বাউন্স হবে। এ কথা সবার জানা। বিষয়টি ভালো করে জানেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরাও। তা সত্ত্বেও কাণ্ডজ্ঞানহীন শট খেলে আসছেন আর যাচ্ছেন তারা। সবশেষ যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিলেন মুশফিকুর রহিম।

শেষ খবর পর্যন্ত ৪ উইকেটে ৪২ রান করেছে বাংলাদেশ। এতে লিড দাঁড়িয়েছে ২৬০ রান। ২০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মোহাম্মদ মিথুন। ৪ রান নিয়ে তার সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।

জিম্বাবুয়েকে ফলোঅনে ফেলবে নাকি বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে? এ প্রশ্নের জবাব পেতে রাতভর অপেক্ষা করতে হয়। অবশেষে সিদ্ধান্ত জানা যায় চতুর্থ দিন খেলা শুরুর আগ মুহূর্তে। সফরকারীদের ফলোঅনে না ফেলে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে টাইগাররা। ২১৮ রানের এগিয়ে থেকে খেলা শুরু করেন তারা।

তবে শুরুটা শুভ হয়নি বাংলাদেশের। সূচনালগ্নেই কাইল জার্ভিসের জোড়া আঘাতে ফেরেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। খানিক বাদে ডোনাল্ড তিরিপানোকে উইকেট উপহার দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন মুমিনুল হক। এতে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। সেই চাপের মধ্যে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি মুশফিক। অযাচিত শট খেলতে গিয়ে তিরিপানোর বলির পাঁঠা হয়ে ফেরেন তিনি। ফলে ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৫২২ রানের পুঁজির বিপরীতে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় ৩০৪ রানে। ফলে ফলোঅনে পড়ে রোডেশিয়ানরা। ব্রেন্ডন টেইলরের লড়াকু সেঞ্চুরি (১১০) এবং পিটার মুর (৮৩) ও ব্রায়ান চারির (৫৩) অসাধারণ ফিফটিতেও ফলোঅন এড়াতে পারেনি তারা। যার বদৌলতে ২১৮ রানের লিড পায় টাইগাররা।

জিম্বাবুয়েকে এ পরিস্থিতিতে ফেলার নেপথ্য নায়ক তাইজুল ইসলাম। তিনি একাই শিকার করেন ৫ উইকেট। দিনটি ছিল তার জন্য বেশ স্মরণীয়। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ এবং টানা তিন ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখান এ বাঁহাতি স্পিনার। বাংলাদেশের হয়ে এমন কীর্তি আছে কেবল এনামুল হক জুনিয়র ও সাকিব আল হাসানের। এদিন তাইজুলকে দারুণ সঙ্গ দেন মিরাজ। তার শিকার ৩ উইকেট।

প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের রেকর্ড ডাবল সেঞ্চুরি (২১৯),মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি (১৬১) এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে (৬৮) রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে ৫২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন স্বাগতিক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৫ উইকেট নেন কাইল জার্ভিস।

Exit mobile version