স্পেনে আশ্রয় নেয়ার জন্য দেশ ছেড়েছেন ভেনেজুয়েলার পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এডমান্ডো গনজালেজ উরুটিয়া। গত ২৮ জুলাই দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিকোলাস মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। ওই নির্বাচনে মাদুরোর পক্ষে ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন এডমান্ডো গনজালেজ। খবর, এএফপির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতে হাজিরার বিষয়ে সমন জারি হলেও এডমান্ডো গনজালেজ তাতে সাড়া দেননি। গত এক মাস ধরে পালিয়ে বেড়ানো গনজালেজ মনে করছিলেন শুনানিতে অংশ নিলে তার স্বাধীনতা খর্ব হবে।
দেশটির রাজধানী কারাকাসের স্প্যানিশ দূতাবাসে কিছুদিন আগে স্বেচ্ছায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়ার পর দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য স্পেন সরকারের প্রতি আবেদন জানান এডমান্ডো গনজালেজ উরুটিয়া। এ বিষয়ে ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান কারাকাস গনজালেজের নিরাপদ বহির্গমনের বিষয়ে সম্মত ছিল।
এদিকে, স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় জানান, এডমান্ডো গনজালেজ তার অনুরোধে স্পেনের একটি সামরিক বিমানে দেশ ছেড়েছেন। তিনি আরও বলেন, স্পেন ভেনেজুয়েলার বাসিন্দাদের রাজনৈতিক অধিকার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গনজালেজের আইনজীবী জোসে ভিসেন্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বিরোধী দলের এই নেতার দেশত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২৮ জুলাইয়ের নির্বাচনের পর মাদুরোকে নির্বাচিত ঘোষণার পর রাজনৈতিক অচলাবস্থায় পড়ে ভেনেজুয়েলা। বিরোধী দল দাবি করে আসছে যে তাদের কাছে নির্বাচনে কারচুপি করার প্রমাণ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ল্যাটিন আমেরিকার দেশ নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অনীহা প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের পর ভেনেজুয়েলার প্রসিকিউশন অফিস এডমান্ডো গনজালেজ উরুটিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে।
/এমএইচআর

