Site icon Jamuna Television

নতুন বিসিবি সভাপতির এক মাস পূর্ণ, অর্জন নাকি ব্যর্থতা

ছবি: সংগৃহীত

নতুন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের মেয়াদের একমাস পূর্ণ হয়েছে। প্রথম মাসে অর্জন যেমন আছে, ব্যর্থতার পাল্লাও কম ভারী না। বিতর্কিত বোর্ড কর্তাদের উপস্থিতি যেমন আছে, কমিটি পুনর্গঠনেও নেই মুন্সিয়ানা। অর্জনের খাতায়- পাকিস্তান সিরিজ আর কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহেকে ব্যক্তিগত আক্রোশের বলি না করা।

যে মাহবুব আনামের বিপক্ষে সভাপতি হওয়ার আগে সরব ছিলেন, নাজমুল হাসান পাপনের রেখে যাওয়া চেয়ারে বসার পর শেষ এক মাসে সেই গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যানই সবসময় থাকেন ফারুক আহমেদের কাছাকাছি। মাহবুব আনামের আশির্বাদপুষ্ট গামিনীও ফিরে এসেছেন, যেখানে মনে হয়েছিল ছুটি নেয়া শ্রীলঙ্কান কিউরেটর আর ফিরবেন না।

এমনকি, বিসিবির ওয়েবসাইটে স্টান্ডিং কমিটির ঘরটা একদম ফাঁকা; তার মানে কি কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে? আর ভেঙ্গেই যদি দেয়া হয়, পুনর্গঠন করা হচ্ছে না কেন? এইচপির কার্যক্রম যে চলছে চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয়কে ছাড়াই, গেম ডেভেলপমেন্ট, ক্রিকেট অপারেশন্স বা টুর্নামেন্ট কমিটির ক্ষেত্রেও একই গল্প।

তাই রিফর্মের গল্প করা হলেও প্রশ্ন থেকে যায়, আদৌ রিফর্ম হয়েছে কি? কিংবা একমাসে পরিকল্পনাই বা কতদূর? এখনো মিরপুর কেন্দ্রীক ক্রিকেট, আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো বাস্তবায়নের চেষ্টা কিংবা লোকাল ক্রিকেট নিয়ে দৃশ্যমান পরিকল্পনার কথাও সেভাবে জোড়ালোভাবে শোনা যায়নি।

প্রথম এক মাসে সফলতার জায়গাও আছে। দায়িত্ব নেয়ার দিন পনেরোর মধ্যেই পাকিস্তানকে সিরিজ হারানো অনেক বড় সাফল্য। ব্যক্তিগত অপছন্দ থাকলেও সাফল্য মেলায় হাথুরুসিংহেকে চাকরিতে বহাল রাখা কিংবা সাকিবের মামলার ইস্যুকে স্মার্টলি হ্যান্ডেল করা; নিঃসন্দেহে শেষ এক মাসে ফারুক আহমেদের অনেক বড় অর্জন! শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে মাঠের ক্রিকেট শুরু করার ঘোষণা দেয়াও তাই।

যেকোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে এক মাস একদমই কম সময়, শুরুও হয়েছে অনেকটাই অম্ল-মধুর। নিশ্চিতভাবেই ফারুক আহমেদ চাইবেন, সময় যত গড়াবে, পাল্লা দিয়ে অর্জনের পাল্লাও ভারি করতে। তাতে দেশের ক্রিকেটের যেমন লাভ, লাভ ব্যক্তি ফারুক আহমেদেরও।

/আরআইএম

Exit mobile version