Site icon Jamuna Television

আড়াই দশকের ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিলেন আলিম দার

ফাইল ছবি

দীর্ঘ ২৫ বছরের আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ আম্পায়ার আলিম দার। পাকিস্তানে চলমান ঘরোয়া টুর্নামেন্টের মৌসুম শেষেই সব ধরনের ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনা থেকে অবসর নেবেন তিনি। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার ‘ডেভিড শেফার্ড’ ট্রফি পেয়েছেন আলিম দার। সবশেষ ২০২৩ সালের মার্চে আইসিসির এলিট প্যানেল থেকে সরে দাড়ান এই পাক আম্পায়ার।

পাকিস্তানের সামনে ব্যস্ত ক্রিকেট সূচি। বেশিরভাগই টেস্ট সিরিজ। সবশেষ এপ্রিলে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছিলেন আলিম দার। আগামী বছর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ফেব্রুয়ারি মাসেই নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তান ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। সেটি হতে পারে আলিম দারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ। এরপর মে মাসে রয়েছে পিএসএল। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে আলিম দারের বিদায় মঞ্চ।

বিশ্ব ক্রিকেটে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার ‘ডেভিড শেফার্ড’ ট্রফি পেয়েছেন আলিম দার। ২০০২ সালে আইসিসির এলিট প্যানেল প্রতিষ্ঠার পর তিনি পাকিস্তানের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে জায়গা করে নেন। এরপর চারটি বিশ্বকাপ ফাইনালসহ রেকর্ড ১৪৫ টেস্ট ও ২২২টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে পরিচালনা করেছেন দার।

আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরুর আগে ১৭টি প্রথম শ্রেণি এবং ১৮টি লিস্ট এ শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন আলিম। ১৯৮৬-১৯৯৮ পর্যন্ত সময়কালে তিনি ছিলেন লেগস্পিনারের ভূমিকায়। পরে ১৯৯৮-৯৯ কায়েদে আজম ট্রফিতে আম্পারিংয়ে অভিষেক হয় আলিম দারের। ২০০০ সালে মাত্র ৩১ বছর বয়সে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুরু করেন আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে নিজের অনুভূতির কথা জানান আলিম। পেশাদারিত্ব ধরে রাখা আর সেরা ম্যাচ অফিসিয়ালদের সাথে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগকে সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মানছেন এই অভিজ্ঞ আম্পায়ার।

আলিম দার বলেন, প্রায় ২৫ বছর আম্পায়ারিং ছিল আমার জীবনের অংশ। প্রজন্মের সেরা ক্রিকেটারদের কিছু দুর্দান্ত ম্যাচ পরিচালনার আকাঙ্ক্ষা আমার সবসময়ই ছিল। পুরো ক্যারিয়ারে আমি ম্যাচ পরিচালনায় পুরো পেশাদারিত্ব ধরে রাখতে চেষ্টা করেছি এবং বিশ্বের সবচেয়ে সেরা কিছু ম্যাচ অফিসিয়ালের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি।

অন-ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন শেষে নিজের নামে করা ‘আলিম দার ফাউন্ডেশন’ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চান তিনি। এর মাধ্যমে রক্তদাতা প্রতিষ্ঠান ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সেবায় বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হবে। এছাড়া পরবর্তী প্রজন্মের ম্যাচ অফিসিয়ালদের পরামর্শ দাতা হিসেবে ও কাজ করার ইচ্ছে পোষণ করেন আলিম।

/এনকে

Exit mobile version