Site icon Jamuna Television

যে ফার্স্ট বয়, সেই লাস্ট বয়

যে ফাস্ট বয়, সেই লাস্ট বয়। অর্থাৎ একটি শ্রেণিতে একজনই ছাত্র। শুনতে অবাক লাগলেও, মানিকগঞ্জের নিমতা সরকারি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির চিত্রটা এমনই। আর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দুই শিফটে এই স্কুলের মোট শিক্ষার্থী মাত্র ২২ জন। শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলছেন, যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় স্কুলটি ছাত্র-ছাত্রী পাচ্ছে না।

চারপাশে ফসলের মাঠ, মাঝখানে ঘিওর উপজেলার নিমতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একতলা ভবন। আশপাশে নেই দোকানপাট, নেই রাস্তা ঘাটও।

দ্বিতীয় শ্রেনীর পাঠদান চলছে। শিক্ষার্থী একজনই। শাওন মোল্লা নামের এই ছাত্রই ক্লাসের ফার্স্ট এবং লাস্ট বয়। একটি শ্রেণিতে সর্বোচ্চ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫। তাদের পাঠদানে শিক্ষক আছেন ৪ জন। ছাত্র-ছাত্রী কম থাকায় স্কুলে লেখাপড়ায় নেই কোন প্রতিযোগিতা।

নিমতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন কুমার মন্ডল বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থাটা খুবই দুর্গম, বিদ্যালয়ে আসার মতো ভালো কোন রাস্তাঘাট নেই। এজন্য বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা কম।

রাস্তা না থাকায় ক্ষেত মাড়িয়েই স্কুলে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের। সামান্য বৃষ্টিতেই বন্ধ হয়ে যায় যাতায়াত। অথচ মাত্র ২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ হলেই সম্ভব সমস্যার সমাধান।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছবেদ আলী বলেন, রাস্তাটা ভালো হলে আমাদের স্কুলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বাড়বে।

স্কুলের এই দুরবস্থার কথা জানা আছে শিক্ষা বিভাগেরও। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রওশন আলী বলেন, বিদ্যালয়ে যাবার সুন্দর রাস্তা না থাকলে শিশুরা বিদ্যালয় যেতে চায় না। তবে অন্যকোন কারণে শিক্ষার্থী কমছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখার কথা বলছেন এই কর্মকর্তা।

১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত নিমতা প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি হয় ২০১৩ সালে। কাগজে-কলমে সে সময় শিক্ষার্থী দেখানো হয় দেড় শতাধিক।

Exit mobile version