Site icon Jamuna Television

‘নাম কিংবা চেহারা দেখেই বিপিএলের ড্রাফটের গ্রেড নির্ধারণ করা হয়?’

আগামী ২৭ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর। এর আগে আগামী ১৪ অক্টোবর রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে প্লেয়ার ড্রাফট। এবারের ড্রাফটের জন্য প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনকৃত ১৮৮ দেশি ক্রিকেটারদের তালিকা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হাতে পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবি।

তবে বিপিএলের গ্রেটিং বা ক্যাটাগরি নির্ধারণ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন জাতীয় দলের একসময়ের নিয়মিত ওপেনার ইমরুল কায়েস। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন নাম কিংবা চেহারা দেখেই বিপিএলের ড্রাফটের গ্রেড নির্ধারণ করা হয় কি না। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিপিএলের ক্যাটাগরি নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এমন মন্তব্যই করেন ইমরুল কায়েস।

দীর্ঘ পোস্টে ইমরুল শুরুটা করেন এভাবে, আসসালামু আলাইকুম। বিপিএলের প্লেস ড্রাফটের আগে ক্রিকেটারদের গ্রেটিং দেখে চিন্তা করছি গ্রেডিংটা আসলে কিসের ভিত্তিতে করা হয়। জাতীয় দল, সারা বছরের ঘরোয়া পারফরম্যান্স, বিপিএলের পারফরম্যান্স নাকি শুধু নাম দেখে করা হয়। বছর-জুড়ে ক্রিকেটের আশেপাশে না থাকা ক্রিকেটারের জায়গা হলো ‘বি’ গ্রেডে। অথচ গত বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা ‘সি’ গ্রেডে। তবে কি শুধু নাম কিংবা চেহারা দেখেই বিপিএলের ড্রাফটের গ্রেড নির্ধারণ করা হয়?

নিজের উদাহরণ টেনে এই ক্রিকেটার লিখেছেন, বিপিএলের ২০১৮-১৯ মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে আমি ভালো করতে পারিনি। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের পর আমাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিসিবির একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যখন কথা হলো তখন বাদ দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, বিপিএলে আমার পারফরম্যান্স তুলনামূলক ভালো ছিল না। যেহেতু প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি তাই আমি কোনো সংকোচ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম।

তিনি আরও লিখেছেন, জাতীয় দলে ফিরতে আমি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি। ২০১৯-২০ মৌসুমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৪৪২ রানও করেছিলাম। কিন্তু এমন পারফরম্যান্সের পরও আমাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়নি। এমনকি জাতীয় দলের কোন ক্যাম্পেও রাখা হয়নি। তবে কি বিপিএলে পারফর্ম না করলেই বাদ? কিন্তু পারফর্ম করলে, সেটাও তো বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না। আমাদের ক্রিকেটের দুর্দিন কি তবে শেষ হবে না?

এবারের বিপিএলের ড্রাফটে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে ইমরুল কায়েসকে। গত আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলেছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, বিপিএলের অন্যতম সফল অধিনায়কও ইমরুল। নেতৃত্ব দেবার পাশাপাশি কুমিল্লার ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে একাধিকবার বিপিএলের শিরোপা জিতেছেন তিনি।

এবারের ড্রাফটে ক্রিকেটারদের ৬ ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে একজন ক্রিকেটার সর্বোচ্চ ৬০ লাখ এবং সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরি ৬০ লাখ, ‘বি’ ক্যাটাগরি ৪০ লাখ, ‘সি’ ক্যাটাগরি ২৫ লাখ, ‘ডি’ ক্যাটাগরি ২০ লাখ, ‘ই’ ক্যাটাগরি ১৫ এবং ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা ১০ লাখ টাকা করে পাবেন।

/এমএইচআর

Exit mobile version