Site icon Jamuna Television

‘সাহিত্যক্ষেত্রে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর সত্যিকারের মূল্যায়ন হয়নি’

রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সাহিত্যকর্মে তার আপোষহীনতার ছাপ পাওয়া যায়। তিনি সাম্যবাদী একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাহিত্যক্ষেত্রে তার সত্যিকারের মূল্যায়ণ হয়নি। তবে রুদ্র সব পুরস্কার-সম্মাননার ঊর্ধ্বে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৬৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বক্তারা।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালিক মোহাম্মদ আজম বলেন, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর কবিতা বুঝতে হলে তাঁর গণমুখী রাজনীতিকেও বুঝতে হবে। আশি-নব্বই দশকের প্রতিরোধী সাংস্কৃতিক আবহ দ্বারা তাঁকে মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি ঢাকার সাহিত্যজগতের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিগণিত হয়েছেন। অল্প জীবনেই কবিতা ও গানে রুদ্রর স্বাতন্ত্র্য তৈরি হয়ে গেছে।

কবি সাখাওয়াত টিপু বলেন, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ মাত্র ৩৫ বছর বেঁচে ছিলেন। স্বল্প লেখক জীবনে তিনি কবিতা, গান, গল্প, নাটক, চিত্রনাট্যসহ নানা ধরনের লেখা লিখেছেন। কম বয়সে চলে যাওয়ায় তার সাহিত্যের পূর্ণ বিকাশ দেখতে পাইনি। ফলে তিনি আমাদের কাছে তরুণই রয়ে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, কবির কাজ মানুষের মনের কথা বলা। তিনি সাহিত্যে সেটিই করেছেন। মূলত তার ধ্বনি-আশ্রয়ী কবিতা ও গান তাকে গণমানুষের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। এ সময় রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ উত্তাল সময়ের সাহসের অনন্য নজির বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

/আরএইচ

Exit mobile version