Site icon Jamuna Television

শিশুকে যৌন হয়রানি মামলার মাস পেরোলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে অভিযুক্ত

বাউফল (পটুয়াখালী) করেসপনডেন্ট::

মাস পার হলেও পটুয়াখালীর বাউফলে শিশুকে যৌন হয়রানির মামলায় আসামি আনোয়ার হাওলাদারকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শিশু নির্যাতনের একাধিক মামলার আসামি আনোয়ারের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধনও করেছিল এলাকাবাসী। একই দাবিতে থানায় স্মারকলিপি দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এগারো বছরের কন্যা শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গত ১১ অক্টোবর বাউফল থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ ঘটনায় আনোয়ার হাওলাদারকে মৎস্যজীবী দলের মদনপুরা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতিও দেয়া হয়েছে। তবে মামলার প্রায় ১ মাস ৪ দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, আনোয়ার রাজনীতির পাশাপাশি মদনপুরা ইউনিয়নের মৃধার বাজারে মুদি মনোহারি ব্যবসা করেন। পণ্য ক্রয়ের জন্য প্রায়ই তার দোকানে যেত ভুক্তভোগী শিশু। এই সুযোগে নানাভাবে ওই শিশুকে যৌন নির্যাতন করতেন অভিযুক্ত আনোয়ার। কাউকে না জানাতে শিশুকে দেখানো হতো ভয়ভীতি। সম্প্রতি ভুক্তভোগী শিশু মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই যৌন নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ আনোয়ারের অনুপস্থিতিতে তার দোকান থেকে আইসক্রিম খাওয়ায়, চুরির অপবাদ দিয়ে তিন শিশুকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন করেন আনোয়ার। যমুনা টেলিভিশনে বিষয়টি নিয়ে স্বচিত্র সংবাদ প্রচারিত হলে ২৬ মার্চ গ্রেফতার হন অভিযুক্ত আনোয়ার হাওলাদার। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন, তবে বেপরোয়া জীবনযাপনের কারণে তিনি সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হন।

প্রায় ১ মাস ৪ দিন অতিবাহিত হলেও কেনো গ্রেফতার হয়নি আনোয়ার হাওলাদার জানতে বাউফল থানায় গেলে এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি কোনো পুলিশ কর্মকর্তা। তবে পুলিশ জানিয়েছে, আসামি আনোয়ার ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করছে। তাই তাকে গ্রেফতারে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। আসামি সবশেষ পাশের গলাচিপা উপজেলায় অবস্থান করছিল বলেও জানায় পুলিশ।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ যমুনা নিউজকে বলেন, ‘গ্রেফতারের প্রক্রিয়া করা হয়েছে তবে এই মুহূর্ত পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। চেষ্টা অব্যাহত আছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসামিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তিনি।

/এনকে

Exit mobile version