Site icon Jamuna Television

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন মাথায় গুলিবিদ্ধ শিশু মুসার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি, নাড়াচ্ছে হাত-পা

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ সাত বছর বয়সী শিশু বাসিত খান মুসার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য শাহরিয়ার মাহমুদ ইয়ামিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) তিনি তার ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ নেতা তার পোস্টের সাথে শিশু মুসার চিকিৎসাধীন ও আহত হওয়ার আগের কিছু ছবি-ও যুক্ত করেছেন।

শাহরিয়ার মাহমুদ ইয়ামিন লিখেছেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রায় ৩ মাস পর শিশুটি এখন চোখ খুলেছে, নাড়তে শুরু করেছে হাত-পা। সিঙ্গাপুরে গিয়ে শুরুতে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছিল মুসার। পরবর্তীতে করোনা থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে পুরোদমে চিকিৎসা শুরু হয় এবং এখন আগের চেয়ে উন্নত।

কোনোভাবেই যেন মুসার চিকিৎসা ব্যাহত না হয়, সেদিকে সরকার সর্বোচ্চ নজর রাখছে বলে ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন শাহরিয়ার মাহমুদ ইয়ামিন।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় মুসাকে

মুস্তাফিজুর রহমান ও নিশামণি দম্পতির একমাত্র সন্তান মুসা। গত ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরার মেরাদিয়া হাট এলাকার বাসার নিচে গুলিবিদ্ধ হয় মুসা ও তার দাদি মায়া ইসলাম (৬০)। তিনি মুসাকে আইসক্রিম কিনে দিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে বাসার নিচে নেমেছিলেন। তখন দুজনেই গুলিবিদ্ধ হন। পরদিনই মুসার দাদি মায়া ইসলাম মারা যান।

সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার আগে মুসাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। গত ২২ অক্টোবর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। সঙ্গে যান মা নিশামণি। মুসা সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শাহরিয়ার মাহমুদ ইয়ামিন জানান, আনুষাঙ্গিক খরচ ছাড়া মুসার জন্য প্রথম ধাপে এককালীন ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পাঠিয়েছে সরকার। দ্বিতীয় ধাপে আরও ১ কোটি টাকা পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও সরকারি খরচে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা চলছে ৩ জনের। আরও ১০-১২জনকে বিদেশে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

/এমএন

Exit mobile version