Site icon Jamuna Television

রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করলে বাধতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে দুরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিলো যুক্তরাষ্ট্র। ফলাফল স্বরূপ- মার্কিন সহায়তাপ্রাপ্ত আর্মি ট্যাকটাইল মিসাইল সিস্টেম দিয়ে রুশ ভূখণ্ডের আরও ভেতরে হামলা চালাতে পারবে কিয়েভ। মূলত এ সিদ্ধান্তের পর থেকেই নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করলে বাধতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ আইনপ্রণেতারা।

সর্বোচ্চ ৩শ’ কিলোমিটার পাল্লার এ মিসাইল সিস্টেম যদি কিয়েভ ব্যবহার করে তাহলে বদলে যেতে পারে যুদ্ধ পরিস্থিতি, বাড়তে পারে পরিধি, এমনটাই ধারণা বিশ্লেষকদের। বলা হচ্ছে, এ সিদ্ধান্ত পুতিন বাহিনীর বিরুদ্ধে অনেকটাই এগিয়ে দেবে ইউক্রেনকে। আলোচনার টেবিলে আরও প্রাধান্য পাবে জেলেনস্কি প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইয়ান কেলি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র যে এই ইস্যু থেকে বের হতে চাচ্ছে না রাশিয়ার জন্য এটি একটি সংকেত। পাশাপাশি ওয়াশিংটন যে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়েই যাবে এটা তারই বার্তা। এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে কূটনৈতিকভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে। কৌশলগতভাবে আরও শক্তিশালী সামরিক অবস্থানে যাবে বাইডেন প্রশাসন। যাতে যেকোনো ধরনের আলোচনায় সুবিধা হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, এমন সিদ্ধান্তকে রাশিয়ার সাথে পশ্চিমাদের সরাসরি সংঘাত হিসেবেই দেখবে মস্কো। ফলে ন্যাটো দেশগুলোর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে পুতিন প্রশাসন।

ইয়ান কেলি আরও বলেন, পোল্যান্ডসহ বাল্টিক দেশগুলো এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবে। পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো এর দাবি বহু আগে থেকেই জানিয়ে আসছিলো। জার্মানিও খুশি হবে। এ সিদ্ধান্ত তাদের ওপর চাপ তৈরি করবে। যাতে তারা কিয়েভকে আরও অস্ত্র সহায়তা দেয়।

এদিকে, ওয়াশিংটনের এ ধরনের পদক্ষেপে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা বাড়ছে বলে সতর্ক করেছে শীর্ষ রুশ আইনপ্রণেতারা। তারা বলছেন, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া মিসাইল ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ জবাব দেবে মস্কো। এর আগে, মার্কিন অস্ত্র দিয়ে রুশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে হামলার অনুমতি দেয় ওয়াশিংটন।

/এআই

Exit mobile version