Site icon Jamuna Television

‘অপারেশন ফলস টার্গেটে’ কাবু ইউক্রেন!

কিয়েভের এই আবাসিক ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে রাশিয়ার ড্রোন হামলায়। প্রায় প্রতিদিনই ইউক্রেনের কোনো না কোনো ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাশিয়ার ড্রোনের আঘাতে। জরিপ বলছে, গত তিন মাসে ইউক্রেনে ড্রোন হামলা বেড়েছে ৮০ শতাংশের বেশি। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু অক্টোবরেই ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে রাশিয়ার প্রায় ২ হাজার ড্রোন। তাই, দিনের পর দিন, জেলেনস্কি প্রশাসনের জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠছে মস্কোর ড্রোন। এরইমধ্যে সামনে এসেছে নতুন তথ্য। ইউক্রেনে হামলা চালাতে রাশিয়ান সেনারা ব্যবহার করছে নতুন এক সমর কৌশল, যার নাম ‘অপারেশন ফলস টার্গেট’!

বিশেষ এই কৌশলে একগুচ্ছ ডিকয় বা ছদ্মবেশী ড্রোন ছোঁড়ে রাশিয়া। যেগুলো ধ্বংস করতে মজুত করা মিসাইল ব্যবহার করে ফেলে ইউক্রেনের সেনারা। পরে, মিসাইল মজুত কমে গেলে ছোঁড়া হয় প্রাণঘাতি থার্মোবারিক ড্রোন।

ইউক্রেনীয় অস্ত্র বিশেষজ্ঞ সেরহি বেসক্রেস্টনভ বলেছেন, রুশ হামলার প্যাটার্ন অনেকটা এরকম; শুরুতে একগুচ্ছ শহীদ ড্রোন ছোঁড়ে। যার বেশিরভাগই ডিকয়। তবে এর মধ্যে আসল বিধ্বংসী ড্রোনও থাকতে পারে। উদ্দেশ্য, অকারণে ইউক্রেনের মিসাইল খরচ করানো। এর কয়েক ঘণ্টা পর মিসাইল দিয়ে হামলা করে। যাতে সেসময় মিসাইল সংকটে প্রতিরোধ গড়া সম্ভব না হয়।

বার্তাসংস্থা এপির তথ্যমতে, রাশিয়া থেকে ইউক্রেনে যে পরিমাণ ড্রোন ছোঁড়া হয়, তাদের ৭৫ শতাংশই ডিকয় ড্রোন। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলছে, এসব ড্রোনের কেবল ৬ শতাংশই আঘাত হানতে পেরেছে টার্গেটে। তবে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আর প্রাণহানি ঘটাতে এই অল্প সংখ্যক ড্রোনই যথেষ্ট- এমনটাও ভাষ্য তাদের।

ডিকয় ও আসল থার্মোবারিক ড্রোনের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না রাডার বা শার্পশুটারের মতো প্রযুক্তি। তাই, রাশিয়ার এই ফাঁদের বিষয়ে জানলেও তাতে পা দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই ইউক্রেনের কাছে। জরিপ বলছে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দিনে ২০ ঘণ্টাই এয়ার অ্যালার্টের অধীনে ছিলো কিয়েভ।

/এআই

Exit mobile version