Site icon Jamuna Television

আখাউড়ায় এক সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ১২ জন!

ছবি: ফেসবুক থেকে নেয়া

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) করেসপনডেন্ট:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া শহিদ স্মৃতি সরকারি ডিগ্রি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ১২ জন। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কলেজে শিক্ষকদের মধ্যে একাধিক গ্রুপিং রয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে একাডেমিক কার্যক্রম। গ্রুপিংয়ে জড়িয়ে ঠিকভাবে ক্লাস না নেয়ায় একাধিক শিক্ষককে দফায় দফায় কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছেন অধ্যক্ষ মো. এহসানুল হক।

জানা গেছে, এ কলেজের অনেক শিক্ষক দূর থেকে ট্রেনে কলেজে আসেন। বাসায় ফিরতে ট্রেন ধরার তাগাদা থাকায় ঠিকভাবে ক্লাস না নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি অধ্যক্ষ মো. এহসানুল হক ১০ নভেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত (৪৫ দিন) একটি কোর্সে অংশ নিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ওই সময় কলেজের ১২ জন শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন, এমন নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষক বন্ধের দিন বাদে ৩ দিন করে দায়িত্ব পালন করবেন বলে নির্দেশ প্রদান করেন অধ্যক্ষ।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষরা হলেন, মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক মো. রাশিদুল হক ভূঁইয়া, বাংলার তানিয়া আক্তার, উদ্ভিদ বিজ্ঞানের কামাল হোসেন, আহসান আহমেদ, মনোবিজ্ঞানের মাহবুল আলম, অর্থনীতির শওকত উজ্জামান, ভূগোলের নূরেশ বেগম, গণিতের জসিম উদ্দিন, ইংরেজির ফয়জুন্নেছা লিজা, ইসলাম শিক্ষার প্রভাষক মো. রব্বানী, গণিতের প্রভাষক আমজাদ হোসেন খান ও ভূগোলের প্রভাষক মোহাম্মদ আবু তাহের খান।

এদিকে, কলেজের ২৪ জন প্রভাষকের মধ্যে ১২ জনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। কলেজ শিক্ষকদের অভিযোগ বিষয়টি অধ্যক্ষের মনগড়া ও স্বজনপ্রীতি ছাড়া আর কিছু নয়।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. এহসানুল হক বলেন, কলেজে বিশৃঙ্খলা এড়াতে ওই শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছি।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (ঢাকা) উপ-পরিচালক (কলেজ-১) মো. নুরুল হক সিকদার বলেন, একাধিক কাউকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করার প্রশ্নই আসে না। এমন অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

/এনকে

Exit mobile version