Site icon Jamuna Television

ইউক্রেনকে ল্যান্ডমাইন দেয়ার ঘোষণায় তোপের মুখে মার্কিন প্রশাসন

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দুর্বার গতিতে এগুচ্ছে রাশিয়া। পশ্চিমাদের ঢালাও অস্ত্র সহায়তা নিয়েও রুশ সেনাদের সামনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারছে না জেলেনস্কি বাহিনী।

এমন পরিস্থিতিতে রুশ সেনাদের গতি কমাতে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বিতর্কিত অ্যান্টি পারসোনেল ল্যান্ড মাইন সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এমন সিদ্ধান্তে অবশ্য মানবাধিকারকর্মীদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে বাইডেন প্রশাসনকে। ইউক্রেনকে বিতর্কিত মাইন দেয়ার সিদ্ধান্তকে বিধ্বংসী আখ্যা দিচ্ছেন তারা।

ভূমিতে পোতা ল্যান্ড মাইন দূষিত করে ফেলে আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। যার নেতিবাচক প্রভাব পরে খাবার ও পানিতেও। জরিপ বলছে, চলতি বছর অন্য যেকোনো মাইনের চেয়ে অ্যান্টি পারসোনেল মাইনের বিস্ফোরণে প্রাণ গেছে বেশি বেসামরিকের। ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ রেড ক্রসের তথ্যানুসারে, ল্যান্ডমাইনের বিস্ফোরণে নিহতদের এক-তৃতীয়াংশই শিশু। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধে ল্যান্ড মাইনের ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু ল্যান্ডমাইনের উৎপাদন, সংরক্ষণ ও ব্যাবহার না করার বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছে বিশ্বের ১৬০টি দেশ। যার মধ্যে, রয়েছে ইউক্রেনও।

যুক্তরাষ্ট্রের সাফাই, ইউক্রেনকে যেসব মাইন দেয়া হচ্ছে সেগুলো প্রচলিত মাইনগুলোর মতো নয়। ভাষ্য- নির্ধারিত সময়ের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এগুলো। ফলে, যুদ্ধের পর বেসামরিকদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলার হুমকি নেই। পাশাপাশি কেবল ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডেই মাইনগুলোর পোতার অনুমতি দেয়া হয়েছে বলছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, রাশিয়া তাদের যুদ্ধের কৌশল পরিবর্তন করেছে। তার সাথে তাল মেলাতে হলে ইউক্রেনের কিছু অস্ত্র প্রয়োজন। মূলত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্টে রাশিয়ার গতি কমাতেই এই পদক্ষেপ। এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্বক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় হতে পারে। প্রচলিত মাইনগুলোর মতো নয় এগুলো। বেসামরিকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে বিশেষ এই মাইন।

অব্শ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধেও রয়েছে ল্যান্ড মাইন ব্যবহারের অভিযোগ। বিশ্ব ব্যংকের তথ্য মতে, ইউক্রেনে যে পরিমাণ মাইন রাশিয়া পুতেছে। তার তুলতে খরচ হবে ৩৭শ কোটির ডলারের বেশী।

/এআই

Exit mobile version