Site icon Jamuna Television

উত্তর জনপদে জেঁকে বসছে শীত, তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামলো ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে

পঞ্চগড় করেসপনডেন্ট: 

হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশার কারণে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বিগত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘরে ওঠানামা করছে। এতে করে রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা নামলেই হিমেল হাওয়ায় বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।  

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৫  ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সূর্য উঠলেও প্রকৃতিতে ছিল হালকা কুয়াশা। সবুজ ঘাসের ডগায় টলমল করছে ভোরের শুভ্র শিশির। বৃষ্টির ফোটার মতো ঝরছে শিশির কণা। শিশির মাড়িয়ে কাজে যেতে দেখা যায় চাষীদের। শীত ঘিরে বাংলার ঘরে ঘরে প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্নের আয়োজন।

স্থানীয়রা জানান, হিমেল বাতাসের কারণে ধীরে ধীরে কমছে উত্তরের তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হচ্ছে। মাঝরাতের পর ভোর পর্যন্ত গায়ে কাঁথা নিতে হচ্ছে। উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় অন্যান্য জেলার আগেই এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে। তবে নভেম্বর থেকেই শুরু হয় শীতের আমেজ। শীতকে কেন্দ্র করে নবান্নের গুঞ্জনও শুরু হয়েছে ঘরে ঘরে।

এদিকে, শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের কারণে গত কয়েকদিন ধরে আগের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন দিন তাপমাত্রা আরও কমবে।

/এনকে

Exit mobile version