Site icon Jamuna Television

কোথায় হারিয়ে গেল বিষধর রাসেলস ভাইপার?

ভয়ঙ্কর বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপারের কথা নিশ্চয় মনে আছে। চলতি বছরের মে-জুন মাসে আলোচনায় সবার ওপরে থাকা এই সাপ হঠাৎ করেই যেন উধাও হয়ে গেছে। কোনো মহলেই নেই কোনো আলাপ-আলোচনা। রাসেলস ভাইপার তাহলে হারালো কোথায়?

বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার ধরে দেশব্যাপী পরিচিতি পাওয়া সাপুড়ে মিনু ঢালী। বলছিলেন, গেল জুনে শরিয়তপুরের সখীপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া জায়গা থেকে বিশাল সাইজের একটি রাসেলস ভাইপার ধরেছিলেন তিনি। এখনও সবার মুখে মুখে সেই গল্প।

মাত্র ৫ মাস আগেও দেশের সব গণমাধ্যমে শিরোনামের শীর্ষে ছিল রাসেলস ভাইপার প্রসঙ্গ। জুনের পর এ বিষয়ে আর কোনো খবর দেখা যায়নি কোথাও। ২৭ জেলায় ছড়িয়ে পড়া সাপটি তবে কোথায় গেলো?
পদ্মার মাঝে ভেসে ওঠা বিশাল চর তারাবুনিয়া। আশপাশ মিলিয়ে এখানে বসত কয়েক হাজার মানুষের। বিষাক্ত সাপ রাসেলস ভাইপার ঝড় গেছে তাদের ওপর দিয়েও। এখনো সেই ভয়ের কথা স্মরণ করেন সেখানকার বাসিন্দারা।

গবেষকরা বলছেন, মার্চ-এপ্রিল-মে মাস রাসেলস ভাইপারের প্রজননের সময়। বর্ষায় সাপের আবাসস্থলে পানি উঠলে তারা অনেকসময় ডাঙ্গায় চলে আসে। বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপ আক্রমণাত্মক না হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্টো তথ্য প্রচার করা হয়েছে। ফলে কেবলই বেড়েছে আতঙ্ক।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, মানুষ বা প্রকৃতি যখন সাপের আবাসস্থলকে আঘাত করে তখন সাপ আবাসস্থল থেকে বেরিয়ে এসে আশ্রয় খোঁজে। এই আশ্রয়স্থল হলো মানুষের বাড়িঘর, যেখানে পানি ওঠেনি।

এই অধ্যাপক জানালেন, শীত শেষ হলে কিংবা বর্ষার শুরুতে আবারও লোকালয়ে দেখা যেতে পারে অতি বিষধর এই সাপ। ভয় না পেয়ে বরং সতর্কতার সাথে তাদের এড়িয়ে চলার পরামর্শ এই কীটতত্ত্ববিদের। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় চন্দ্রবোড়াসহ যে কোনো সাপ নিধন না করার পরামর্শও দেন এই গবেষক।

/এটিএম

Exit mobile version