
প্রতীকী ছবি
বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে সিন্ডিকেট। জিম্মি ভোলার রোগী ও তাদের স্বজনরা। বেশিরভাগ গাড়ির নেই লাইসেন্স-ফিটনেস। অপ্রাপ্ত বয়স্করা চালাতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনাও। জেলাটিতে বেসরকারিভাবে শতাধিক অ্যাম্বুলেন্স চলছে।
জানা গেছে, জেলার সাত উপজেলায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্স আছে ৯টি। সেগুলো সবসময় সবার ব্যবহারের সুযোগ মেলে না। ভরসা, বেসরকারিভাবে চলা অ্যাম্বুলেন্স। সেখানেও নেই স্বস্তি। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকেই নিতে হবে গাড়ি। ভাড়া তাদের চাহিদামতো। ফলে তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে রোগী ও তাদের স্বজনরা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এক স্বজন বলেন, এক চালককে ভাড়া জিজ্ঞেস করেছি, বললো ১৫০০ টাকা লাগবে। এরপর যার কাছে যাই সবাই একই ভাড়া বলে। এদের ব্যাপক সিন্ডিকেট। তারা সিন্ডিকেটের বাইরে ভাড়ায় যায় না।
চলাচল করা এসব গাড়ির বেশিরভাগেই নেই ফিটনেস কিংবা অনুমোদন। চালকরাও অপ্রাপ্ত বয়স্ক, অদক্ষ। ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই কারও। তবুও প্রতিনিয়ত রোগী নিয়ে ছুটছে বরিশাল, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে। মাঝেমধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনাও।
এক অ্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, আমরা ভাড়া বেশি নেই না। আমাদেরগুলো বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স। তেলসহ অন্যান্য মেইনটেনেন্স খরচ অনেক বেশি। সে হিসেবেই ভাড়া নেয়া হয়। আরেক চালক বলেন, সব চালকরা খারাপ না। দু’এক জনের কারণে সবার বদনাম হয়।
সিন্ডিকেটের কথা অস্বীকার করেছেন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি। তবে, স্বীকার করলেন, অপ্রাপ্তদের দিয়ে গাড়ি চালানোসহ বাকি অনিয়মের কথা। মালিক সমিতির সভাপতি মিলন হাওলাদার বলেন, যেসব গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই, তাদেরকে দ্রুত কাগজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সিভিল সার্জন মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভাড়া বেশি নেয়ার বা সিন্ডিকেট চালানোর সুযোগ নেই। আমরা এবিষয়টি দেখবো। এছাড়া মালিক সমিতির সাথে কথা বলবো।
 
 
				
				
				 
 
				
				
			


Leave a reply