জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন বলেছেন, নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে হয়, সেজন্য জনগণকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে।
নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণকে সক্রিয়ভাবে দেশ শাসনে অংশগ্রহণ করতে হবে। শুধু একদিন ভোট দিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ হয় না।
তিনি বলেন, মালিকরা যদি তাদের সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচন না করেন, তবে তারা বঞ্চিত হন। সেই দায়িত্ব মনে রেখে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নির্বাচন যেন সুষ্ঠভাবে হয়, সেটা জনসাধারণকে মালিক হিসেবে পাহারা দিতে হবে।
এ আইনজীবী বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনকে বাধা দেয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। বাধা দিলে নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে রক্ষা করতে হবে। বুথ খোলার সঙ্গে সঙ্গে আপনারা সেখানে উপস্থিত হবেন। পরিবারকে নিয়ে ভোট দেবেন।
দলীয় আনুগত্য ও ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন ছাড়াও কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মির্জা ফখরুল। ইসলাম আলমগীর। বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুশিয়ারি দেন তিনি।
ফখরুল বলেন, বলেন, নির্বাচন সরকারের অনুগ্রহ নয় বরং জনগণের সাংবাধিবানিক অধিকার। কিন্তু, প্রার্থীদের গ্রেফতার অব্যাহ থাকলে, নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিবেশ থাকে না। তফসিলের পর প্রায় ৭শ’ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান ফখরুল। একই অনুষ্ঠানে নির্বাচন নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন। ভোটারদের পরামর্শ দেন, সকাল-সকাল পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার। এসময়, নির্বাচন কমিশনের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান, নিরপেক্ষভাবে এবং সব ভয়-ভীতির উর্ধ্বে উঠে নিজ দায়িত্ব পালন করার।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু প্রমুখ।