Site icon Jamuna Television

জাঙ্গুর সেঞ্চুরিতে ধবলধোলাই বাংলাদেশ

সেন্ট কিটসে টানা তিন ম্যাচে ফিফটি পেলেন মাহমুদউল্লাহ। এই ম্যাচেও ৬৩ বলে উপহার দিযলেন অপরাজিত ৮৪ রান। কিন্তু ম্যাচ শেষে সেই মাহমুদউল্লাহ ম্লান হয়ে গেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আমির জাঙ্গুর কাছে। অভিষেকেই বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ঝোড়ো সেঞ্চুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এনে দিয়েছে স্মরণীয় এক জয়। বাংলাদেশ হয়েছে ধবলধোলাইয়ের (০-৩) শিকার।

বাংলাদেশের ৩২২ রান তাড়া করতে নেমে একসময় উইন্ডিজ ২৩৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে। ততোক্ষণে কিসি কার্টি ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। তাকে ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত করার পর লেগ স্পিনার রিশাদ রিটার্ন ক্যাচে ফেরান রোস্টন চেজকে। তখন মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ ম্যাচটি জিততে পারে।

কিন্তু এরপর অবিচ্ছিন্ন এক জুটি বেঁধে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায় ক্যারিবীয় দুই ব্যাটার। ৮৩ বলে জাঙ্গুর অপরাজিত ১০৪ রানের সঙ্গে গুড়াকেশ মোতির ক্যামিও ৪৪ রানের সুবাদে বাংলাদেশের দেয়া ৩২২ রানের লক্ষ্য ৪ উইকেট ও ২৫ বল হাতে রেখে টপকে যায় উন্ডিজ। এই মাঠে ওয়ানডেতে এটা সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে এই জয়।

এর আগে, টস হেরে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে রিয়াদ-জাকেরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২১ রান তোলে টাইগাররা।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। শুন্য রানেই তানজিদ তামিম ও লিটন দাসকে ফেরান আলজারি জোসেফ। পরে ক্যারিয়ারের ১৩তম অর্ধশতক হাঁকান ওপেনার সৌম্য সরকার। সিরিজে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি করেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও। দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে যুক্ত করেন ১৩৬ রান। তবে ব্যক্তিগত ৭৩ রান করা সৌম্যকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মোতি। আর ৭৭ রানে সাজঘরের পথ দেখেন মিরাজ। এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন আফিফ হোসেন।

তবে ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলীর সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকে এগুতে থাকে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওয়ানডের মতো শেষ ম্যাচেও ফিফটি করেন মাহমুদউল্লাহ। ৭ চার, ৪ ছক্কায় ৬৩ বলে উপহার দেন ৮৪ রান। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা পান জাকের আলী। ৫ চার, ২ ছক্কায় ৫৭ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন।

/এএম

Exit mobile version