Site icon Jamuna Television

ফটো স্টোরি: তেল আবিবে হুতি হামলার সময় কেন ঘুমিয়ে ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা?

ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। স্থানীয় সময় শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে হুতি বাহিনী তেল আবিবজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে হেভি সুরক্ষা সিস্টেম থাকার পরও ইসরায়েলের ‘হার্ট’ তেল আবিবে হামলা করতে সক্ষম হয় ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। হামলার পর ইসরায়েলি তদন্তকারী একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছায়। ঠিক কিভাবে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলো, সে বিষয়ে তদন্ত করছে ইনভেস্টিগেশন ইউনিটটি। এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হুতি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে এ হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে। হুতি কর্মকর্তা হেজাম আল-আসাদ বলেন, ‘সব ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতা প্রমাণ করে যে, সন্ত্রাসী শত্রুর হার্ট আর নিরাপদ নয়।’ অন্য এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘বিলিয়ন ডলার খরচ করে বানানো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আর কোনো উপযোগিতা নেই।’

এই হামলার পর অনেকটা হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। মূলত, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ইসরায়েল। তবে, এই হামলার পর নড়েচড়ে বসেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ঠাট্টা করে লিখছেন, ‘তেল আবিবে হুতি হামলার সময় ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঘুমিয়ে গিয়েছিলো।

হামলার পর তেল আবিবের বেশ কিছু স্থানে খুঁজে পাওয়া যায় বোমা হামলার নিশানা। চলুন ছবিতে দেখে নেয়া যাক ইসরায়েলে হুতিদের হামলার পর ক্ষয়ক্ষতির সার্বিক পরিস্থিতি:

তেল আবিবের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাস্থলে ইসরায়েলি তদন্তকারীরা। ছবি: আল জাজিরা।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাস্থলে তেল আবিবের লোকজন জড়ো হয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। এ হামলায় মোট ১৪ জন ইসরায়েলি আহত হয়েছে। ছবি: আল জাজিরা।
ছবি: আল জাজিরা।
ছবি: আল জাজিরা।

/এআই

Exit mobile version