Site icon Jamuna Television

১ বছরে চিকন চালের দাম বেড়েছে ১৪ শতাংশ

প্রতীকী ছবি

আমনের মৌসুমেও চালের বাজার অস্থির। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও সুফল মিলছে না দামে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে, পাইকারিতে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে আড়াই থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। দাম বৃদ্ধির জন্য খুচরা, পাইকারি এবং মিল-মালিকরা দুষছেন পরস্পরকে। দোষারোপের খেলায় নাকাল ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চড়া দাম আর ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে বাড়ছে আমদানি জাতের মূল্য।

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে মিনিকেট চালের দাম ৭ থেকে ৮ টাকা, আর মোটা ও মাঝারি চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। এমন চড়া দামে হতাশ ক্রেতারা।

বাজারে এখন সবচেয়ে কম দামি চাল গুটি স্বর্ণা। কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে তা ৫২ টাকায়। পাইজাম ৫৮ আর মিনিকেটের জন্য গুণতে হবে, মানভেদে ৭২ থেকে ৭৮ টাকা। ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না নাজির শাইল। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরদের অভিযোগ, মিলাররা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

ধানের চড়া দামের অজুহাত তুলছেন আড়তদাররা। পাশাপাশি দাম বৃদ্ধির জন্য গুটিকয়েক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কারসাজিকেও দায়ী করছেন। স্থানীয় উৎপাদনে চালের চাহিদা মিটছে না-এমন দাবি মিল মালিকদের। তারা বলছেন, আমদানি করা চালের বাড়তি দাম এবং ডলারের উচ্চমূল্যের প্রভাব পড়ছে দামে।

রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, এক বছরের ব্যবধানে চিকন ও মাঝারি চালের দাম বেড়েছে ১৪ শতাংশ। আর মোটা চালের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি।

/এটিএম

Exit mobile version