Site icon Jamuna Television

খুমেকের হিমঘরে ৬ মাস ধরে পড়ে আছে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ

খুলনা ব্যুরো:

প্রায় ছয় মাস ধরে খুলনা মেডিকেলের হিমঘরে পড়ে আছে সুরাজ সিং নামের এক ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য তাকে মেডিকেলের প্রিজন সেলে আনা হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুরাজ। এরপর থেকে মরদেহ সেই হিমঘরেই পড়ে আছে। তবে মরদেহ হস্তান্তরের ব্যাপারে দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, অনুপ্রবেশের একটি মামলায় ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বাংলাদেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ ধরা পড়েন ভারতের কোচবিহার রাজ্যের বাসিন্দা সুরাজ সিং। চারমাস কারাভোগের পর ওই বছরের ৯ আগস্ট দণ্ড সমাপ্ত হয় তার। কিন্তু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের জটিলতায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে হেফাজতে ছিলেন ভিনদেশি নাগরিক। চলতি বছরের জুলাইয়ে রোগাক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেলের প্রিজন সেলে মারা যান সুরাজ। তখন থেকেই মরদেহ পড়ে আছে এখানে।

হাসপাতালের একজন বলেন, সুরাজ সিং নামের একজন গত ৪ জুলাইয়ে আমাদের এখানে প্রিজন সেলে রাখা হয়।উনি ক্রনিক সাপুরেটিভ ওটাইটিস মিডিয়ার (সিএসওএম) রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

মরদেহ সংরক্ষণাগারের একজন বলেন, এটা নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় আছি। কারণ উনি প্রায় ৪ থেকে ৫ মাসের বেশি হয়ে যাচ্ছে, আমাদের ফ্রীজে আছে।

অন্য আরেকজন বলেন, এভাবে তার মরদেহ পড়ে থাকলে নষ্ট হয়ে যাবে। যদিও এখন মরদেহ পচন ধরা শুরু করেছে।

সংরক্ষণের অভাবে বিকৃত হচ্ছে মৃতদেহ। কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও মিলছে না সমাধান। তাছাড়াও এ বিষয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

খুমেকের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মোহসীন আলী ফারাজী বলেন, এ বিষয়ে খুলনা জেল সুপারকে ফোন করেছি। ফোনে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। এই সপ্তাহেও চিঠির মাধ্যমে তাকে আবারও জানাবো।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম বলেন, যশোর থেকে চিকিৎসার জন্য খুলনা গিয়েছিলেন। এখনও তিনি খুলনার হেফাজতে আছেন। সেই হিসাবে এটার সমাধান খুলনাই করুক।

ঢাকার সহকারী কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত উল ফরহাদ বলেন, মন্ত্রাণালয়কে বলা হয়েছে। মন্ত্রাণালয় যাছাই-বাছাই করে তথ্য পাঠিয়েছে। এখন ইন্ডিয়ান হাইকমিশন থেকে কোনো পদক্ষেপ না আসা পর্যন্ত আমরা আলোচনায় যেতে পারছি না।

উল্লেখ্য, সুরাজ সিং’র বিষয়ে এখনও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

/এসআইএন

Exit mobile version