খেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর প্রভাব বাজারে

|

দেশের বাজারে বছরে খেজুরের চাহিদা ৯০ হাজার টন। এর মধ্যে কেবল রোজায়-ই চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার টন। এই বিপুল চাহিদা কাজে লাগিয়ে অসৎ ব্যবসায়ীদের একটি চক্র দাম রোজা এলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। ক্রেতার পকেট থেকে হাতিয়ে নেয় বিপুল পরিমাণ অর্থ।

এবার খেজুরের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের পরামর্শে কমিয়ে দেয়া হয়েছে শুল্ক-কর। মোট কর ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৮ দশমিক ৭০ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

খুচরা দোকানদাররা বলছেন, আমদানি ও পাইকারি পর্যায়ে সিন্ডিকেট মাথাচাড়া না দিলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে।

ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, শুল্ক-কর কমানোয় এবার সাধরণ খেজুরগুলোর দাম অনেক কম থাকবে।

এদিকে, খেজুর আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে সাধারণ খেজুরের। কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। জিহাদি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০, যা আগে বিক্রি করা হত ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। ভালো মানের আজুয়া, মরিয়ম, মেডজুল, মাব্রুম খেজুরের জন্য গুণতে হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, যা আগে বিক্রি করা হতো ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা।

দোকানদাররা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম কমার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে খুচরা পর্যায়ে। তাদের আশা, রমজানেও দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকবে।

তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ, যে হারে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে, সে হারে দাম কমায়নি ব্যবসায়ীরা। এখন থেকেই আমদানি-পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে তদারকির তাগিদ দিচ্ছেন তারা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply