Site icon Jamuna Television

ছত্তিশগড়ের ‘সাহসী’ সাংবাদিকের লাশ মিলল সেপটিক ট্যাংকে

‘সাহসী’ সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন ভারতের ছত্তিশগড়ের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর। একের পর এক চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশ করে নজর কেড়েছিলেন অনেকের। প্রভাবশালীদের দুর্নীতির খবর প্রকাশই কি কাল হলো সাংবাদিক মুকেশের! যে কারণে হয়তো ‘নৃশংসভাবে’ হত্যার শিকার হতে হলো তাকে। মুকেশের মরদেহ পাওয়া গেছে একটি সেপটিক ট্যাংকে। খবর বিবিসির।

৩২ বছর বয়সী মুকেশ চন্দ্রকর নতুন বছরের প্রথম দিন নিখোঁজ হয়েছিলেন। এরপর তার পরিবার থানায় অভিযোগও দিয়েছিল। এর দুইদিন পর শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিজাপুর শহর এলাকার এক রাস্তা নির্মাণ ঠিকাদারের কম্পাউন্ডে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ কর্মকর্তারা তার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে মরদেহের সন্ধান পায়।

তার মৃত্যুর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে তার দুই আত্মীয়ও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ছত্তিশগড় পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসি জানিয়েছেন, ৩ জানুয়ারি তারা সড়কের পাশে একটি ব্যাডমিন্টন কোর্টের কাছে নতুন মেঝেযুক্ত সেপটিক ট্যাংকে মুকেশের মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। তিনি বলেন, ট্যাংকের ওপরে কংক্রিটের স্ল্যাব স্থাপন করা হয়েছিল। তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন রয়েছে।

সম্প্রতি ১২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে দুর্নীতির খবর ফাঁস করেছিলেন মুকেশ চন্দ্রকর। প্রশ্ন উঠেছে, এই তথ্য সামনে আনার জন্যই কি খুন হতে হয়েছে তাকে? ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে খবর করেছিলেন মুকেশ। একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছিল ৫০ কোটি টাকার। কিন্তু, পরে সেই নির্মাণ খরচ ১২০ কোটি টাকায় পৌঁছে যায়। এর জেরে রাস্তা নির্মাণের ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকরের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার।

/এনকে

Exit mobile version