Site icon Jamuna Television

তিন ভুয়া দুদক কর্মকর্তা ৩ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয় থেকে গ্রেফতার তিন ভুয়া দুদক কর্মকর্তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন– কথিত ‘দুর্নীতি নিবারণ সহায়ক সংস্থার’ নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সম্রাট, সংস্থার পরিচালক (অপারেশন) রায়হান ওরফে সৈয়দ রায়হান ও সাইফুল ইসলাম।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান খান আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গ্রেফতার আসামিরাসহ পলাতক আরও ৭/৮ জন দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করছে- এমন অভিযোগ জানতে পারে দুদক। জানা যায়, আসামি রায়হানের নেতৃত্বাধীন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র ‘দুর্নীতি নিবারণ সহায়ক সংস্থা’ নামে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সামাজিকমাধ্যমে হুমকি ও ভীতি দেখিয়ে আসছে।

আসামিরা গত ১২ নভেম্বর হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দুদকের ছদ্মবেশ ধারণ করে ‘কথিত অভিযান’ পরিচালনা করে আইন বহির্ভূত জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। এছাড়াও, দুদকের সহযোগী সংস্থা পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জমিজমা ও সীমানা বিরোধ, পাওনা টাকা আদায়, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, দাম্পত্য কলহসহ নানা বিষয়ে প্রতারণামূলক ও আইন বহির্ভূতভাবে ১৫৩টি স্থানে অভিযান পরিচালনাসহ মোট ২০০ স্থানে প্রকাশ্যে বিচারের নামে চাঁদাবাজি করে।

আবেদনে আরও বলা হয়, এসব অভিযান পরিচালনাকালে চক্রটি পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার জন্য এখতিয়ার বহির্ভূত চিঠি পাঠিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশেরও সহযোগিতা নিয়েছে। এতে দুদক সম্পর্কে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। আসামিদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে মামলার ঘটনা সংক্রান্তে সুস্পষ্ট তথ্য সংগ্রহ ও মূল রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন প্রতারক চক্রের দুই সদস্য।

/এএম

Exit mobile version