ভিরাট কোহলির সময়ের ঘড়িটা যেন চলছে উল্টো পথে। মাঠে তার সঙ্গী হয়েছে কেবল নিজের ছায়া। সদ্য সমাপ্ত বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজটা ব্যাট হাতে রাঙাতে পারেননি ভারতের এই তারকা ক্রিকেটার। ৫ ম্যাচ সিরিজে আছে ১টি সেঞ্চুরি আর বাকি ম্যাচে এক রাশ হতাশা। এমন সময় মানসিক শান্তির খোঁজে স্ত্রী আনুশকা শর্মা ও দুই সন্তান নিয়ে তিনি ছুটেছেন বৃন্দাবনের পথে। ভারতের উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার হিন্দুধর্মীয় একটি তীর্থস্থান হলো বৃন্দাবন।
সেখানে কোহলি গিয়েছেন মূলত শ্রী প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণ জি মহারাজের আশ্রমে। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে দেখা যায় প্রেমানন্দ মহারাজকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন ভিরাট ও আনুশকা। তাদের আশীর্বাদ দেয়ার পাশাপাশি ভিরাটকে দেশসেবকের আখ্যাও দেন এই ধর্মগুরু।
প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, ভিরাট পুরো ভারতকে আনন্দ দেয়। যদি সে বিজয়ী হয়, গোটা ভারত উৎসব পালন করে। ওর সঙ্গে জুড়ে আছে পুরো দেশ। সৃষ্টিকর্তা ওকে খেলার মাধ্যমে সেবা করার দায়িত্ব দিয়েছেন।
Shri Premanand Ji Maharaj said – "Ye (Virat Kohli) Pure Bharat ko prashannta dete hai, Ye agar Vijay hote hai to pura Bharat khushiyon manata hai. Inke saath pura Bharat Juda hua hai (Virat Kohli gives happiness to the whole of India, If he wins then whole India happy & whole… pic.twitter.com/gVknTOxgTa
— Tanuj Singh (@ImTanujSingh) January 10, 2025
ভিডিওতে আরও দেখা যায় আনুশকা নিজের মত প্রকাশ করছিলেন প্রেমানন্দ মহারাজের কাছে। চেয়েছেন প্রেম, ভক্তি আর আশীর্বাদ। ‘ভিরুষ্কা’ জুটির ধর্ম ভিরুতা মন ছুঁয়েছে মহারাজের।
এ ধর্মগুরু বলেন, আপনারা খুবই সাহসী। পৃথিবীতে এত সম্মান পাওয়ার পর ভক্তির দিকে আসা কঠিন কাজ। আমার মনে হয় আপনার সৃষ্টিকর্তার প্রতি নিবেদিত প্রাণ হওয়ার প্রভাব ভিরাটের ওপর পড়বে। ভক্তির ওপরে কিছুই নেই।
অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগেও দেশ বিদেশের বিভিন্ন আশ্রম আর কীর্তনের অনুষ্ঠানেও ভিরাট-আনুশকা দম্পতিকে দেখা গেছে একাধিকবার। সাধারণ মানুষের সাথে মেঝেতে বসেই করেছেন প্রার্থনা।
উল্লেখ্য, টেস্ট সিরিজের পর ভারতের নতুন মিশন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-২০ ও ওয়ানডে সিরিজ। গত বিশ্ব আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন কোহলি। তবে খেলবেন একদিনের ম্যাচে। এরপর ফেব্রুয়ারিতে থাকছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর, যেখানে সবার নজর থাকবে এই পোস্টার বয়ের দিকেই।
/এমএইচআর
Leave a reply