Site icon Jamuna Television

২০ বছরের চুক্তির মাধ্যমে সামরিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করছে ইরান ও রাশিয়া

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো সফরে গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করতে একটি নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই চুক্তিকে কেন্দ্র করে বরাবরই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা জোটের দেশগুলো। গত বছরের জুলাই মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মাসুদ সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এবারই প্রথম মস্কো সফর করছেন তিনি।

তবে চুক্তিতে স্বাক্ষরের আগে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করবেন উভয় নেতা। বরাবরের মতো মস্কোর সঙ্গে তেহরানের সম্পর্কের প্রশংসা করেছে ক্রেমলিন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ইরান আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে মার্কিন শত্রুভাবাপন্ন ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে গড়ে তুলেছে রাশিয়া। এছাড়া পিয়ংইয়ং সহ রাশিয়ার মিত্র বেলারুশ ও চীনের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করে মস্কো। 

রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে এবার ২০ বছর মেয়াদি চুক্তি হবে। এই চুক্তির আওতায় দেশ দুটি এবার প্রতিরক্ষা খাতে আরও সহযোগিতাপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছাবে। তবে এর ফলে দেশ দুটি পশ্চিমাদের আরও রোষানলে পড়তে পারে। তবে মস্কো এবং তেহরান বলেছে যে তাদের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অন্য দেশের বিরুদ্ধে নয়।

উল্লেখ্য, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় উভয় দেশই তাদের বাণিজ্য কার্যক্রম বাড়িয়েছে। ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমা কর্মকর্তাদের মতে, ইরান ইতিমধ্যেই রাশিয়াকে স্ব-বিস্ফোরণকারী ‘শাহেদ’ ড্রোন সরবরাহ করেছে, যা মস্কো ইউক্রেনে হামলায় ব্যবহার করেছে।

/এআই

Exit mobile version