Site icon Jamuna Television

মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত ফরিদপুরের ইমার

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) করেসপনডেন্ট: 

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চিত ফরিদপুরের মোসা. ইমা আক্তারের (২১)। তার পড়াশোনা ও ভর্তির টাকা জোগাড় করতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবার।

ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ড পূর্ব হাসামদিয়া গ্রামের মুদি দোকানদার শেখ বিলাল হোসেনের কন্যা ইমা। ভাঙ্গা সরকারি পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান। পরে, ফরিদপুর সারদা কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

বাবা মুদি দোকানদার বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার কোনো জায়গা জমি নাই। শ্বশুর বাড়িতে একটি টিনের ঘর তুলে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছি। মেয়েকে ঠিকমতো লেখাপড়ার খরচ দিতে পারিনি। অনেক কষ্ট করে মেয়ে লেখাপড়া করেছে। আগামী মাসের ২ তারিখের দিকে ভর্তি হতে হবে, বই খাতা কিনতে হবে। মেয়েকে কীভাবে ভর্তি করাবো সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এলাকাবাসীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি যেনো আমার মেয়ে ভালভাবে লেখাপড়া করতে পারে।

ইমা আক্তার বলেন, জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। মেডিকেলে চান্স পেয়ে অনেক খুশি এবং আনন্দে দীর্ঘক্ষণ কান্না করেছি। তবে মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি। বইখাতা ভর্তি সব মিলিয়ে অনেক টাকার দরকার। আমার বাবার পক্ষে এত টাকা-পয়সা দেয়া সম্ভব হবেনা।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। নানান স্বপ্ন পূরণ করতে পারি এবং মানুষের যেনো সেবা করতে পারি- এই প্রত্যাশায় সকলের দোয়া কামনা করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি জানতে পেরেছি, পৌর এলাকায় হতদরিদ্র পরিবারের এক কন্যা ইমা আক্তার। ২০২৪ -২৫ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। তার ভর্তিসহ যেকোনো বিষযয়ে আমার কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে, আমার সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।

/এসআইএন

Exit mobile version