Site icon Jamuna Television

মার্চেই ইনশাআল্লাহ ফার্স্ট গেম—বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক প্রসঙ্গে হামজা চৌধুরী

ফাইল ছবি

দিন যতই বাড়ছে ততই বাড়ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ লেস্টার সিটির হামজা চৌধুরীকে নিয়ে উৎকণ্ঠা ও জল্পনা। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন এই ফুটবলার। কবে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে হামজাকে মাঠে দেখা যাবে— এর উত্তর এতদিন ঢাকা ছিল কুয়াশার চাঁদরে।

এবার হামজা নিজেই কাটালেন সেই ধোঁয়াশা। ইংল্যান্ডে এক সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ বাংলাদেশি ইউটিউব চ্যানেল হাওয়া টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিলেন নিজের মাঠে নামার দিনক্ষণ।

সেখানে হামজা চৌধুরীকে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি জি, মার্চ-ই ইনশাল্লাহ ফার্স্ট গেম, আমি গিয়া সব স্কোয়াডরে মিট করমু, মার্চো, অ্যান্ড ইনশাল্লাহ সাক্সেসফুল হইমু আমরা সব…।’

মাত্র ৭ বছর বয়স থেকেই লেস্টার সিটিতে খেলছেন হামজা চৌধুরী। শুধু তাই নয়, ইংল্যান্ডের হয়ে অনুর্ধ্ব ১৬, অনুর্ধ্ব একুশেও খেলেছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এই ফুটবলার। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত হামজা।

তিনি বলেন, এটি আমার জন্য অনেক আনন্দের একটি ব্যাপার যে, আমি বাংলাদেশের জাতীয় দলের সাথে খেলার সুযোগ পেয়েছি। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা অনেক গর্বের। বিশেষ করে আমার পরিবারের জন্য। এজন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে অনেক ধন্যবাদ। বাংলাদেশের জন্য সাফল্য বয়ে আনতে পারব। ভক্তদের থেকেও অনেক ভালোবাসা পেয়েছি।

শৈশব থেকেই বড় হয়েছেন ইংল্যান্ডে। দীর্ঘ ২৭ বছর সেখানকার আবহাওয়া, সংস্কৃতিতেই কাটিয়েছেন হামজা চৌধুরী। তবে বাংলাদেশের ভিন্ন আবহাওয়ায় মানিয়ে নেয়ার চেয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাটাকেই বড় করে দেখছেন তিনি।

হামজা চৌধুরী বলেন, অবশ্যই এটি ভিন্ন একটি অভিজ্ঞতা আমার জন্য। আবার নতুন করে নতুন একটি জার্নি শুরু করতে যাচ্ছি। ভিন্ন একটি সংস্কৃতি, ভিন্ন পরিবেশ। যেহেতু আমার বাবা বাঙালি এসব নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক লেভেলে খেলতে পারছি এটাই অনেক আনন্দের।

আগামী মার্চের ফিফা উইন্ডোতে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। সব ঠিক থাকলে ২৫ মার্চ ভারতের শিলংয়ে লাল-সবুজের জার্সিতে দেখা যাবে হামজা চৌধুরীকে।

/এনকে

Exit mobile version